ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

সাত জেলায় ৭ বিয়ে, ডিজিএফআই পরিচয়ে ভয়ানক ফাঁদ!

  নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৪০

সাত জেলায় ৭ বিয়ে, ডিজিএফআই পরিচয়ে ভয়ানক ফাঁদ!

ডিজিএফআই এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। প্রতারকের নাম খন্দকার ওবায়দুর চুন্নু ওরফে জীবন চৌধুরী (৫০)। তার বাড়ি রাজবাড়ি জেলায়।

গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ ওয়াকিটকি, ডিজিএফআই-এর ভুয়া পরিচয়পত্র, ৫টি মোবাইল সেট এবং বিভিন্ন কোম্পানির ১০টি সিমকার্ড পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার নড়াইল সিআইডির কার্যালয়ে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে নড়াইল সিআইডির একটি টিম বুধবার ভোরে রাজবাড়ি জেলার কালুখালী থানার রুপসা গ্রাম থেকে প্রতারক খন্দকার ওবায়দুর চুন্নু ওরফে জীবন চৌধুরী ও তার মা মরিয়ম বেগমকে (৬৮) গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে অবৈধ ওয়াকিটকি, মোবাইল ও ডিজিএফআই-এর ভুয়া পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। তবে টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

সিআইডির কর্মকর্তা জানান, ওবায়দুর দেশের বিভিন্ন জেলায় ৭টি বিয়ে করে সেসব এলাকায় একটি প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে এবং সেসব এলাকার সহজ-সরল মানুষকে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদে চাকরি দেবার নামে নিয়োগপত্র প্রদান করে লাখ লাখ টাকা আদায় করে আসছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় নড়াইলের ৩টি এলাকার চার জনের কাছ থেকে মোট ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। তার বিরুদ্ধে নড়াইলের লোহাগড়াসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে।

মামলার বাদী লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের লক্ষীপাশা এলাকার ভ্যান-সাইকেলের মেকানিক ফিরোজ মোল্যা এ প্রতিনিধিকে জানান, তার ছেলে মোছা মোল্যাকে (১৮) সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস অফিসের অফিস সহকারী পদে চাকরির জন্য জমি বিক্রি ও লোন নিয়ে ওবায়দুরকে গত মে ও জুন মাসে দুই কিস্তিতে ৯ লাখ টাকা দেয়।

একই উপজেলার লোহাগড়া ইউনিয়নের কাউড়িখোলা গ্রামের বেকার যুবক বিল্লু মঙ্গল রায় জানান, তিনি তার পৈত্রিক জমি বিক্রি ও সুদে টাকা লোন নিয়ে সেনাবাহিনীর কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরির জন্য গত জুলাই ও আগস্ট মাসে ওবায়দুরকে ১০ লাখ টাকা দেন।

লোহাগড়া থানার রাজুপুর গ্রামের বেকার তরিকুল ইসলাম জানান, তিনি সেনাবাহিনীতে অফিস সহকারী পদে চাকরির জন্য ওবায়দুরকে গত জুন ও জুলাই মাসে ৪ লাখ টাকা প্রদান করেন।

একইভাবে লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ইশানগাতি গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, তার ভাইপো সাজ্জাদ সরদারের চাকরির জন্য গত ১৫ জুলাই ওবায়দুরকে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত