ঢাকা, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

মহামারীতেও দর্শনার্থী বাড়ছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে

  শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২০, ১৮:৩২

মহামারীতেও দর্শনার্থী বাড়ছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে দর্শনার্থীরা

করোনা মহামারী ও শীতের প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা পার্কের প্রাণিবৈচিত্র উপভোগ করতে আসছেন। তবে দর্শনার্থীরা জানাচ্ছে, শীতের উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে পার্কের বিশেষ কিছু প্রাণির দেখা পাওয়া যায়নি।

শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পার্কের টিকিট কাউন্টারে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিলো চোখা পড়ার মতো। বাধ্যবাধকতা থাকায় সকল দর্শনার্থী মাস্ক পরে পার্কে প্রবেশ করে।

জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে পার্কের মূল প্রবেশদ্বার থেকেই। কেউ বন্ধু-বান্ধব ও এলাকার লোকজন নিয়ে, আবার কেউ সপরিবারে গাড়ি ভাড়া করে পার্কের প্রাণিবৈচিত্র পরিদর্শন করতে এসেছেন।

পাবনা সরকারি বুলবুল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রনি খান ও পাবনা পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী নাসিম উদ্দিনসহ ১৩ জন বন্ধু শুক্রবার ঘুরতে আসেন পার্কে। তারা জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তারা পার্কে এসে পৌঁছান। সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা পার্ক পরিদর্শন করেন।

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে টিকিট কাউন্টারে দর্শনার্থীদের ভিড়

তারা জানান, সাফারি পার্কে করোনা মহামারীর মধ্যেও দর্শনার্থীর অভাব নেই। উৎসুক মানুষকে মহামারী করোনা ও শীতের প্রভাব প্রাণিবৈচিত্র পর্যবেক্ষণ করতে বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি।

৫২ জনের একদল গ্রামবাসী বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খন্দকারটুলা থেকে একটি বড় বাসে পার্ক পরিদর্শন করতে আসে। দর্শনার্থী জিয়াউর রহমান ও রাব্বি জানান, করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন পার্ক এলাকা ছিল দর্শনার্থীশূণ্য। পার্কের ভেতরে গাছপালা ও তরুলতা দেখে মনে হয়েছে তারা যেন নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। পশুপাখিগুলো দেখে মনে হয়েছে তারাও মানুষের বিচরণ থেকে কয়েকটি মাস মুক্ত হয়ে যেন বনে ফিরে গিয়েছিল। সীমাবদ্ধ এলাকায় পশুপাখির বিচরণ কম থাকলেও প্রাণিবৈচিত্রে এর প্রভাব চোখে পড়েনি।

ইউনিক মেঘনা ঘাটের প্রকৌশলী মো. হুজাইফা বলেন, তিনি সপরিবারে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক পরিদর্শন করেন। জিরাফ, জেব্রা ও ভল্লুকের দেখা মিললেও বিশেষ বেষ্টনীতে থাকা বাঘ ও সিংহের দেখা পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, পার্কে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও বিশেষ বেষ্টনীতে গাড়িতে ওঠার সময় সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক

ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই মো. শাহজাহান জানান, গত শুক্রবার ২ হাজারের বেশি দর্শনার্থী ছিল। পার্ক খুলে দেয়ার খবরটি বহুল প্রচার হলে দর্শনার্থী আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। দর্শনার্থীর সংখ্যা আরও বেশি হবে।

পার্কের সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান জানান, করোনা মহামারীর কারণে পার্কটি লকডাউনের আওতায় ছিল। চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সরকারি নির্দেশে এটি খুলে দেয়া হয়েছে। মহামারীতে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি দর্শনার্থী আসছে। এ সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, সপ্তাহে মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন পার্ক খোলা রয়েছে। দিনের বেশিরভাগ সময় বাঘ-সিংহ সুবিধাজনক স্থানে ঘুমিয়ে সময় কাটায়। সে কারণে কোনো কোনো সময় এরা দর্শনার্থীদের চোখে পড়ে না।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত