ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

তেজগাঁও-কুনিপাড়া সড়ক উদ্বোধনকালে ডিএনসিসি মেয়র

২০০ ট্রাক ডাবের খোসা, জাজিম, টেলিভিশন, ফ্রিজ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:৪৫  
আপডেট :
 ০৬ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:১৭

২০০ ট্রাক ডাবের খোসা, জাজিম, টেলিভিশন, ফ্রিজ
ফাইল ছবি

রাজধানীর কুনিপাড়ায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম তেজগাঁও উত্তরা মটরস থেকে কুনিপাড়া রানার্স পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন শেষ হওয়ায় উদ্বোধন করেন। ২ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উদ্বোধন করা সড়কটির দৈর্ঘ্য ৬৫৬ মিটার; এতে ৬৫৬ মিটার পাইপ ড্রেন এবং ৫৯০ মিটার ফুটপাতও রয়েছে। এ সময় রাজধানীর খাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কালশি খাল ও গোদাখালী খাল থেকে ২০০ ট্রাক ডাবের খোসা উদ্ধার করেছি। এইখান থেকে জাজিম ৩৬টি, টেলিভিশন, ফ্রিজ সবকিছু খালে পেয়েছি।

বুধবার বেলা ১১টায় সড়কটি উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, আজকে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে কথা বলছি, আজ থেকে এক বছর আগেও কিন্তু এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলা যেত না। আমি নির্বাচনের সময় বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি, এখানেও এসেছিলাম। তখন আমি বলেছিলাম এই এলাকার এই অবস্থা কেন। আজ এই জায়গায় সেই দুরবস্থার অবসান হলো।

মেয়র আরো বলেন, আমরা চাই এই ঢাকাকে একটি সুন্দর ঢাকায় রূপান্তরিত করার জন্য। আমরা জানি যে, আমাদের অনেক সমস্যা আছে। কিছু সমস্যা মানুষের তৈরি। আমরা দেখেছি কিভাবে রাস্তাগুলোকে দখল করে রাখে।

খাল পরিষ্কার ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ সম্পর্কে আতিকুল ইসলাম বলেন, আপনারা জানেন যে আমরা এক তারিখে খালের দায়িত্ব পেয়েছি। আমি ইব্রাহিমপুর খালের সামনে যখন দাঁড়ালাম, তখন দেখি খালের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬০ ফিট, যখন ফিতা দিয়ে মাপলাম, ওই খাল আর ৬০ ফিট নাই। ওই খাল হয়ে গেছে মাত্র ১০ ফিট। তাহলে বৃষ্টি হলে পানি যাবে কোথায়? সেই পানি বিভিন্ন রাস্তায় চলে যাবে। আমি কালশি খাল ও গোদাখালী খাল থেকে ২০০ ট্রাক ডাবের খোসা উদ্ধার করেছি। এইখান থেকে জাজিম ৩৬টি, টেলিভিশন, ফ্রিজ সবকিছু খালে পেয়েছি।

উপস্থিত জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, জনগণকে বলে যাচ্ছি, যে রাস্তা, যে খাল আমরা পরিষ্কার করে দিবো, সেই খাল এবং সেই রাস্তা যেন আপনারা তদারকি করেন। সেই অঙ্গীকার আপনাদের থেকে আমরা চাই। সে দায়িত্ব আমি দিয়ে গেলাম। অনেক কষ্ট করে আমার রাস্তা করি। অনেক কষ্ট করে আমরা ফুটপাত করি। অনেক কষ্ট করে ড্রেন থেকে ময়লা সাফ করি। আপনারা বলুন কোন এলাকার ড্রেনের ময়লা আছে আমরা পরিষ্কার করে দিব প্রথমবারের মতো। আমরা বারবার পরিষ্কার করব। ময়লা করবে জনগণ, এটি হবে না। আপনাদের সাহায্য পেলে এটি একটি নন্দিত ঢাকা শহর হবে।

ভাষানটেকে গত দুইদিন ধরে চলমান অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ভাষানটেক থেকে মানিকদি রাস্তা পার হতে বের থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগতো। পকেট গেইটে একটি দোতলা বাড়ির জন্য সেখানে দীর্ঘ যানজট তৈরি হতো। আমরা সেই বাড়িটি কিনে ভেঙে দিয়েছি। এছাড়া রাস্তার দুই পাশে অবৈধ ভাবে তৈরি করা বাড়িগুলোর বর্ধিতাংশ ভেঙে দিয়েছি। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বাড়িও রেহাই পায়নি। দখলদার যেই হোক না কেন, যত শক্তিশালীই হোক না কেন, যত বড় রাজনৈতিক ব্যক্তি হোক না কেন, অবৈধভাবে দখল করে রাখবে, এটি আমি মানতে পারব না। যারা অবৈধভাবে খাল এবং রাস্তা দখল করেছেন তাদের জন্য আমাদের জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সফিউল্লাহ সফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ডিএনসিসি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত