ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান

  নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:১৭  
আপডেট :
 ১৩ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:০১

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান
ছবি: নিজস্ব

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার পানপাড়া বাজারের সড়কের পাশে পাউবোর প্রবহমান খাল অবৈধভাবে দখল করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ শাহাজান তার একান্ত সহকারীকে লিজ দিয়ে ইমারত নির্মাণ করেন।

খবর পেয়ে রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নির্মাণ সামগ্রী জব্দ করে নিয়ে যায়। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের এহেন কর্মকাণ্ডে উপজেলা ব্যপী সমালোচনার ঝড় বইছে।

সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহাজান অন্যায়ভাবে উপজেলার পানপাড়া বাজারের সড়কের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রবহমান খালের প্রায় এক কোটি টাকার জায়গা জেলা পরিষদের বলে তার একান্ত সহকারী সায়েমকে লিজ দেন। সায়েম সে জায়গা অবৈধ দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করেন।

সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ুন রশিদ নির্মাণাধীন দোকান ঘর উচ্ছেদে অভিযান চালিয়ে নির্মাণকৃত ইমারত ভেঙ্গে চুরমার করে নির্মাণ সামগ্রী জব্দ করে নিয়ে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, আলহাজ্ব শাহাজান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর রামগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে সরকারি জায়গা দখল করে শত শত দোকান ও নানা স্থাপনা নির্মাণ করেছে। যে হারে সরকারি জায়গা দখল হচ্ছে, আগামী দু-এক বছরের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এবং জেলা পরিষদের নামে কোন জায়গার অস্তিত্ব রামগঞ্জে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তার আত্মীয় স্বজনরা দিনে দুপুরে জায়গা ভরাট করে দখল করে নেন। আবার কেউ কেউ রাতারাতি বিশাল পাকা স্থাপনাও গড়ে তুলছে। পাকা স্থাপনা করে চড়া মূল্যে অন্যের কাছে বিক্রিও করছে।

ব্যবসায়ীরা আরো জানান, পানিয়ালা বাজারে সরকারি জায়গা দখল করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তার ছেলের নামে বিশাল মার্কেট করেছে। তার অনেক আত্মীয় স্বজন অনেক সরকারি জায়গা দখল করে রেখেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পাউবোর জায়গা জেলা পরিষদ লিজ দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। দখলকৃত জায়গা উদ্ধার করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হলেও রহস্যময় কারণে প্রভাবশালী শক্তির প্রভাবে এ উচ্ছেদের ফাইল চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হূমায়ুন রশিদ জানান, পাউবোর জায়গা লিজ দেওয়ার এখতিয়ার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নেই। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের প্রতি নির্দেশ আছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের। তাই অবৈধভাবে কে দখল করেছে সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত