ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

পাবনায় এক সপ্তাহে শীতে ৫ শিশুর মৃত্যু

  পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:০৪

পাবনায় এক সপ্তাহে শীতে ৫ শিশুর মৃত্যু
ছবি: প্রতিনিধি

শীতে কাঁপছে পাবনার পদ্মা-যমুনা তীরবর্তী অঞ্চল। এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা এবং হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চরাঞ্চলের এবং নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ চরমে। এদিকে পুরো জেলা জুড়ে প্রচণ্ড শীতে ঠাণ্ডাজনিত সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া এবং ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে ঠাণ্ডাজনিত রোগে অন্তত অর্ধ সহস্র মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে শিশু এবং বৃদ্ধ বয়সের মানুষ বেশি।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, এবারে ৮ ডিগ্রি থেকে ১২/১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, পাবনা জেনারেল হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ৬৫ থেকে ৭০ জন শিশু ও বৃদ্ধ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহে ৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে ধারণ ক্ষমতার বাইরে রোগী আসায় তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের। গত এক সপ্তাহ ধরে পাবনায় প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহ চলছে। পদ্মা-যমুনা তীরবর্তী হওয়ায় প্রতিবছরই শীত বেশি থাকে এ অঞ্চলে। কিন্তু এবারে শীত পড়ছে দীর্ঘ মেয়াদি। গত এক সপ্তাহের শীতে এবং ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শীত মৌসুম শুরুর পর থেকে জেলায় অল্প সংখ্যক শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড শীতের কারণে ঠাণ্ডাজনিত এসব রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, পাবনা জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন ঠাণ্ডাজনিত নিউমোনিয়াসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত গড়ে ৬৫ থেকে ৭০ জন করে রোগী ভর্তি হচ্ছে। এদের মধ্যে শিশু এবং বয়োবৃদ্ধ মানুষ বেশি। গত এক সপ্তাহে ঠাণ্ডাজনিত রোগে ৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ধারণ ক্ষমতার বাইরে রোগী আসায় তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের।

এদিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও জেলার ৮ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষ। গুরুতর রোগীদের রেফার্ড করা হচ্ছে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে।

শিশু বিশেষজ্ঞ ও পাবনা মেডিকেল কলেজের সহকারি অধ্যাপক ডা. নীতিশ কুমার কুণ্ডু জানান, করোনাকাল হওয়ায় খুবই সতর্কতার সঙ্গে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতি বছরই শীত মৌসুমে এ ধরণের সমস্যা হয়ে থাকে। এবারেও শীত কমে গেলে পরিস্থিতি ভালো হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত