ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

গোপালগঞ্জে গরম বাতাসে ৯০ কোটি টাকার ক্ষতি

  গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২১, ১১:৪৯  
আপডেট :
 ২১ এপ্রিল ২০২১, ১১:৫২

গোপালগঞ্জে গরম বাতাসে ৯০ কোটি টাকার ক্ষতি
ছবি: প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গরম বাতাসে চলতি বোরো মৌসুমে জেলার ৪১ হাজার কৃষকের ১০ হাজার ৭৫ হেক্টর জমির ধান গরম বাতাসে আক্রান্ত হয়ে ৯০ কোটি টাকার ধানের ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রস্তুত করে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ ও দরিদ্র প্রান্তিক কৃষকদের প্রণোদনার জন্য তালিকা প্রস্তুতির কাজ শুরু করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. অরবিন্দু কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ এপ্রিল রাতে ঝাড়ের পর আধা ঘণ্টার গরম বাতাসে জেলার ৫টি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এ ক্ষতি হয়।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. অরবিন্দু কুমার রায় জানিয়েছেন, গত ৫ এপ্রিল রাতে গোপালগঞ্জের উপর দিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী বয়ে যায় গরম বাতাস। তখন ছিলো ধানের ফ্লাওয়ারিং অবস্থা। এতে জেলার পাঁচ উপজেলার ৪১ হাজার কৃষকের ১০ হাজার ৭৫ হেক্টর জমির ধান গরম বাতাসে আক্রান্ত হয়। যা আবাদের শতকরা ৬ ভাগ ক্ষতি হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৯০ কোটি টাকা।

তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ৪১ হাজার কৃষকের মধ্য থেকে ২২ হাজার ৬শ’ দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের তালিকা প্রস্তুতির কাজ চলছে। তালিকা সম্পন্ন হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে আর্থিক প্রণোদনার জন্য পাঠানো হবে। সরকার মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে কৃষকদের কাছে প্রণোদনার অর্থ পাঠাবেন।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৫ এপ্রিল রাতে জেলার টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া, কাশিয়ানী, মুকসুদপুর ও সদর উপজেলার উপর দিয়ে গরম বাতাস প্রবাহিত হয়। এতে জমির ধান সবুজ থেকে সাদা বর্ণ ধারণ করে। এরপর গোপালগঞ্জ কৃষি বিভাগ বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শের জন্য ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অবস্থিত ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউটের (ব্রি) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের আহবান করেন।

সে অনুযায়ী ৭ এপ্রিল ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউটের ভাঙ্গা (ব্রি) এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. একলাচুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মনোজিৎ কুমার মল্লিক, গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. অরবিন্দ কুমার রায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

তারা পরিদর্শন শেষে গরম বাতাসের কারণেই যেসব ধান কেবলমাত্র দুধ অবস্থায় বা ফ্লাওয়ারিং অবস্থায় ছিলো সে সব ধানই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান। তারা কৃষকদেরকে তখন ধানের গোঁড়ায় পানি জমিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত