ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

কমলনগরে ব্যাপক হারে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

  কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৩০

কমলনগরে ব্যাপক হারে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ
ছবি- প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। তীব্র গরম ও বিশুদ্ধ পানি সঙ্কটের প্রভাবে এমনটা হচ্ছে বলে ধারণা করছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকরা। এর মধ্যে নারী ও শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও এলাকা থেকে গত সাপ্তাহে প্রায় ২৫০ জনের মতো ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৯৫ জন রোগি ভর্তি রয়েছে। রোগী এতটাই বেশি, তাদের হাসপাতাল ফ্লোর বা মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৯৫ জন রেজিস্টারকৃত রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসা দিতে ডাক্তার ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এছাড়াও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ক্লিনিকগুলোতে খবর নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন ডাইরিয়ার রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ওষুধ সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। প্রতিদিন প্রতিটি ক্লিনিকে ৮-১০ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।

মেডিকেল অফিসার আকিল আল ইসলাম জানান, করোনাকালীন সময়ে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে রেখে এসব রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু তাহের পাটোয়ারী জানান, হঠাৎ করে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও এলাকা থেকে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। করোনাকালীন সময়ে ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা নিয়ে ডাক্তার এবং নার্সরা বিপাকে পড়ে। তবে সবকিছু ঠিক রেখে যথাযথভাবে এসব রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মাত্র ৫০ শয্যাবিশিষ্টি। গত কয়েক দিনে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫০ জন থেকে ৩০০ জনে। এর মধ্যে বর্তমানে ভর্তি রয়েছে ৯৫ জন।

ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, বিশুদ্ধ পানি ও তীব্র গরমের কারণে এমনটা হচ্ছে। তবে বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাদ্যের কারণেও হতে পারে। বাইরের খাবার পরিহার ও বিশুদ্ধ পানি পান করলে এর সঠিক সমাধান হতে পারে। এছাড়াও সবাইকে করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যসচেতন হতে হবে।

ড. আবু তাহের আরও জানান, হাসপাতালে আপাতত মেডিকেল ডাক্তারের সঙ্কট নেই। তবে ২০ জন নার্সের মধ্যে মাত্র ৮ নার্স রয়েছে। এতে রোগীদের সেবা সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। রোগীদের মেডিসিনের আপাতত সঙ্কট নেই। তবে মেডিসিন চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার প্রতিটি বাজারে যেন অন্তত একটি ফার্মেসি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত