ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা

  লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২১, ১৪:০৬

বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা
ছবি: প্রতিনিধি

বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়ায় প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর ভাতিজার সহায়তায় হত্যা করে মরদেহ লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের পাশে ফেলে রাখে ট্রাক চালক জিরাব আলী (২৯)। এ ঘটনার ৫ মাস পর গত সোমবার বিকেলে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান লালমনিরহাট সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বি -সার্কেল) তাপস সরকার।

এর আগে গত বছরের ২ ডিসেম্বর লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের মমিনপুর আলাউদ্দিন নগর নির্জন এলাকায় মহাসড়কের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা অজ্ঞাত তরুণীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রাকচালক শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা গ্রামের কুবেদ আলীর ছেলে জিরাব আলী ও তার ভাতিজা একই এলাকার ভাতশালা গ্রামের জিলামুদ্দিনের ছেলে শাহিনুর ইসলাম শাহিনকে (১৫) গত ২০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পাটগ্রাম থানা পুলিশ।

লালমনিরহাটের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) তাপস সরকার জানান, প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে হামিদা আক্তারের (২৪) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ট্রাকচালক জিরাব আলী। হামিদা বিয়ের জন্য চাপ দিলে আগের দুই স্ত্রী ও সন্তান থাকায় বিয়ে করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন প্রেমিক জিরাব আলী। ফের বিয়ের জন্য চাপ দিলে এক পর্যায়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন জিরাব আলী।

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বছর ১ ডিসেম্বর রাতে বুড়িমারী স্থলবন্দর আসার পথে ট্রাকে হামিদাকে নিয়ে আসেন জিরাব আলী। ওই রাতে সহকারী চালক তার ভাতিজা শাহিনুর ইসলাম শাহিনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে হামিদাকে ধর্ষণ করে। এরপর ভাতিজা শাহিনের সহায়তায় রড দিয়ে পিটিয়ে বিবস্ত্র হামিদাকে হত্যা করে মহাসড়কের পাশে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় তারা।

পর দিন ২ ডিসেম্বর স্থানীয়দের খবরে অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পাটগ্রাম থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে অজ্ঞাত মরদেহ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের সহায়তায় দাফন করা হয়। প্রযুক্তি ব্যবহার করে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ।

দীর্ঘ ৫ মাস পরে ক্লু-লেস হত্যা মামলার ক্লু উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে ২০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘাতক ট্রাকচালক জিরাব আলী ও তার ভাতিজা সহকারী চালক শাহিনুর ইসলাম শাহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত