ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

মুনিয়ার মৃত্যুতে তথ্যের অস্বচ্ছতায় এমএসএফ’র উদ্বেগ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ মে ২০২১, ২১:৫৮  
আপডেট :
 ০৫ মে ২০২১, ২২:৪২

মুনিয়ার মৃত্যুতে তথ্যের অস্বচ্ছতায় এমএসএফ’র উদ্বেগ
সংগৃহীত ছবি

কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যু বিষয়ে বিভিন্ন সূত্র থেকে পরিবেশিত তথ্যে প্রচুর অস্বচ্ছতা পরিলক্ষিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।

বুধবার এমএসএফ’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমন প্রতিক্রিয়া জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, মুনিয়ার নিহত হওয়ার ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সে বিষয়ে এখনও পরিস্কার কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসা যাবে না বলে জানায় পুলিশ।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, মরদেহের গলার বাম পাশে অর্ধ চন্দ্রাকৃতির গভীর কালো দাগ আছে এবং সুরতহাল রিপোর্টে যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত বের হওয়ার আলামত মিলেছে। এমএসএফ মনে করে, মুনিয়ার অপমৃত্যু ঘিরে তথ্যপ্রবাহ ক্রমশ অস্বচ্ছ করে তোলা হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী অভিযুক্তকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী অভিযুক্ত উচ্চ আদালতে আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেন। আইন অনুযায়ী জামিনের আবেদন করতে হলে অভিযুক্তকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে আবেদন জানাতে হয়। বর্তমান করোনা অতিমারির প্রেক্ষিতে অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ থাকলেও অভিযুক্তের অবস্থান নির্নয় করা সম্ভব। তাই প্রশ্ন উত্থাপন করা অযৌক্তিক হবে না যে এমতাবস্থায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারছে না কেন? বিবৃতিতে এমএসএফ বলছে, কতিপয় গণমাধ্যমে যেভাবে খবর পরিবেশিত হচ্ছে তাতে মুনিয়ার অপমৃত্যুর সুষ্ঠূ বিচারের উপর জোর না দিয়ে নানাভাবে তার চরিত্র হনন করে পক্ষান্তরে মৃত্যুর জন্য তাকেই দোষারোপ করার প্রবনতা দেখা যাচ্ছে যা গ্রহণযোগ্য নয়। মুনিয়ার মৃত্যুকে অন্য দিকে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে এমনটি করা হচ্ছে কি-না খাতিয়ে দেখা দরকার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুনিয়ার ডায়েরি ও অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্যাদি যা প্রকাশ করা হচ্ছে তার সবগুলোই আইন ও মানবাধিকারের পরিপন্থি ও অনিতিবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। যেহেতু মুনিয়ার মোবাইল ফোন ও ডায়েরি পুলিশ জব্দ করেছে বলে আমরা জানতে পারি, এ বিষয়ে পুলিশ তার দায়িত্ব এড়াতে পারে না।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, অপরদিকে মুনিয়ার বড় বোন নুসরাতকে মুঠোফোনের মাধ্যমে নানা ধরনের হুমকি প্রদান করা হচ্ছে যা শুধু অনাকাঙ্ক্ষিতই নয় মানবিক মর্যাদাহানিকরও বটে। এ বিষয়গুলি নিয়ে আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত এ কারণে যে আমাদের অভিজ্ঞতায় সমাজের ধনী-প্রভাবশালী কিছু মানুষ যারা এ ধরনের গুরুতর অপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে থাকে, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় এবং যার উপরে অপরাধ সংঘটিত হয় তারা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়। এজন্য জনগণের মধ্যে ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থাহীনতা তৈরী হয় যা একটি রাষ্ট্রের জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক নয়। এ ধরণের ঘটনার নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত ও কার্যকর শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ার যে অপসংস্কৃতি বিদ্যমান, তার অবসান ঘটাতে মুনিয়ার অপমৃত্যুর ঘটনার জবাবদিহি নিশ্চিত করা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য অত্যাবশ্যকীয় বলে এমএসএফ মনে করে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর/আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত