পা ফেলার জায়গা নেই, তবু ফেরিতে উঠতেই হবে!
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ মে ২০২১, ২০:১৮
ফেরিতে পা ফেলার জায়গা নেই, তারপরও ঠাসাঠাসি করে উঠে পড়ছে ঘরমুখো মানুষ। করোনা বা লকডাউন কোনকিছুই তাদের সামনে বাধা হয়ে আসতে পারছে না। যতই কষ্ট হোক, যেতেই হবে বাড়ি, আর ঈদ পালন করতে হবে প্রিয়জনদের সাথে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েও ফেরির বাহিরের ঢাকনা ধরে ঝুলে পড়ছে ভোলা-বরিশালগামী যাত্রীরা!
বুধবার (১২ মে) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর হাট ফেরিঘাটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ দিন দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে এ ঘাট থেকে কলমীলতা নামে একটি ফেরি ভোলার ইলিশাঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদে উপলক্ষ্যে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপে ঘাটে পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়ে আছে। ফেরিঘাটে নোঙর করার সাথে সাথে যাত্রীরা ফেরিতে উঠে জায়গা দখল করে নেয়। ফলে ফেরিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যবাহী যানবাহন বহন করতে পারছে না।
এছাড়া ফেরিঘাটে ঢাকা-চট্রগ্রাম থেকে আসা ভোলা-বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলগামী বাসিন্দাদের ভিড় জমে আছে। কেউ কেউ ফেরিতে ঠাই না পেয়ে বিকল্পভাবে ট্রলার, স্পিডবোর্ড বা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছে।
এসব সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্থানীয় কয়েকটি গ্রুপ মাত্রারিক্ত ভাড়া নিয়ে অবৈধভাবে যাত্রী পার করছে। তবে গণপরিবহণ এবং নৌ-যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছে যাত্রীরা। এতে অতিরিক্ত ভাড়া এবং সময় ব্যয় করে তারা বাড়ি ফিরছেন বলে জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেঘনা নদী সংলগ্ন কাছিয়ার খালে চররমনী মোহন ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ ছৈয়াল শেল্টারে অস্থায়ী ঘাট বসিয়ে অনুমোদহীন নৌ-যান দিয়ে যাত্রী পারাপার করছে তার ছেলে ও আত্মীয়রা।
অন্যদিকে মজু চৌধুরীর হাটের দক্ষিণে বুড়ির ঘাটে আরেকটি অস্থায়ী ঘাট বসিয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মনির হোসেন সজীব। যদিও নদীতে কোস্টগার্ডসহ প্রশাসন টহল দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে