ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

কোরবানী সামনে রেখে মসলা ভাঙার ধুম

  আতাউর রহমান ফারুক, মনোহরদী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২১, ১৬:৪৩

কোরবানী সামনে রেখে মসলা ভাঙার ধুম

কোরবানী ঈদের রান্নার জন্য হলুদ মরিচ ধনিয়া ভাঙিয়ে মসলা করার ধুম পড়েছে। মসলা ভাঙার মিলগুলোতে এখন প্রচণ্ড কর্মব্যস্ততা। মনোহরদী ও পার্শবর্তী কাপাসিয়া এলাকার বেশ কয়েকটি মিল ঘুরে দেখা যায় কর্মব্যস্ততার চিত্র।

মিল মালিক কর্মচারীদের সারা শরীর হলুদ মরিচের গুড়োয় মাখামাখি। মিলের বাইরে নারী পুরুষের ভীড়। বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ তাদের মসলা ভাঙিয়ে নিতে অপেক্ষা করছেন। কেউ কেউ আবার লাইনে পোটলা রেখে চলে যাচ্ছেন ভাঙিয়ে রাখলে পরে এসে নেবেন বলে। সবগুলো মসলা মিলের চিত্রই প্রায় এক।

মনোহরদী পৌর শহরের চন্দনবাড়ী পাইলট গার্লস হাই স্কুল সংলগ্ন মসলা মিলের মালিক রশীদ (৭০) জানান, প্রায় ২৫ বছর ধরে এ মিল চালাচ্ছেন তিনি। ভীষণ ব্যস্ততা এখন কোরবানীর ঈদ বলে। কথা বলারও সময় নেই তার। সেই সকাল থেকে শুরু করেছেন। যতোক্ষণ মসলা থাকে ভাঙাতে হবে। তা সে সারা রাত জেগে হলেও।

কাপাসিয়ার চালা বাজারের একটি মিলের মালিক জাকির (২৮)। তার মিলে ৭ টা মেশিন। ধান চালের জন্য ৩ টি। বাকী ৪ টি হলুদ মরিচ ধনিয়া এবং জিরা ভাঙাবার জন্য।

তার মেশিনগুলো পৃথক পৃথক মসলার বলে এক মসলার সাথে অন্যটা মেশে না। তাছাড়া অন্যদের অধিকাংশরাই ৩০/৩৫ টাকা কেজি দরে মসলা ভাঙান। তিনি ভাঙান ২০ টাকা কেজিতে। ফলে তার মিলের কদর বেশী। ভীড়ও বেশী তাতে এখন।

জাকির জানান, কোরবানী ঈদের ব্যস্ততা অনেক বেশী হয়। মসলা ভাঙাতে হয় অনেক রাত পর্যন্ত। সেখানে তখন বেশ কিছু গৃহীনি মসলা ভাঙাতে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।

মনোহরদী বাজার সংলগ্ন মানিক সাহার মিলে ততোটা ব্যস্ততা নেই। মানিক সাহা জানান, তিনি মসলা ভাঙা বন্ধ করে দেবেন। কারণ কেজিতে একশ' গ্রাম ঘাটতি নিয়ে অনেক কথা শুনতে হয়। তারচে এটি বন্ধ করে দিতে চান তিনি। মনোহরদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আরও একটি মসলা মিলেও কর্মব্যস্ততা ছিলো নজর কাড়ার মতো।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত