ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

যমুনা নদী পারের অপেক্ষায় সহস্রাধিক পণ্যবাহী ট্রাক

  পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২১, ১৫:১৫

যমুনা নদী পারের অপেক্ষায় সহস্রাধিক পণ্যবাহী ট্রাক

যমুনা নদী পারের অপেক্ষায় পাবনার কাজীরহাট ফেরি ঘাট এলাকায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পণ্যবাহী ট্রাকের জট তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে যানজট তৈরি হতে থাকে। শনিবার এ যানজট আরও দীর্ঘ হয়।

ফেরি স্বল্পতার কারণে পাবনার কাজীরহাট ফেরি ঘাটে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যেই আরও একটি ফেরি কাজীরহাট আরিচা রুটে সংযুক্ত হবে বলে বিআইডব্লিউটিএ এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

কাজীরহাট ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘাট থেকে শুরু করে বাঁধের হাট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ট্রাকের দীর্ঘ সারি। এতে প্রায় ৫ শতাধিক পণ্যবাহী ও কুরবানির পশুবাহী ট্রাক রয়েছে।

শনিবার দুপুর ১২ টায় কাজীরহাট ফেরিঘাট থেকে ট্রাক চালক কাজল (৪০) জানান, তিনি সোনা মসজিদ এলাকা থেকে গম বোঝাই করে ঢাকা অভিমুখে যাচ্ছেন। কিন্তু শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে যানজটে পড়ে রয়েছেন।

একই কথা জনালেন, ট্রাক চালক রাজ্জাক। তিনি পাবনার কাশীনাথপুর থেকে রওয়ানা দিয়ে আটকা পড়েছেন। তারাসহ বেশ কিছু চালক ও গাড়ির স্টাফ জানান, কুরবানির পশুবাহী ট্রাকগুলোকে দ্রুত সিরিয়াল দেয়া হচ্ছে। এজন্য তাদের গাড়িগুলো আটকা পড়েছে।

তারা জানান, তাদের গাড়িতে খাদ্যদ্রব্যসহ ও পশুখাদ্য রয়েছে। সারা রাত তাদের গাড়িতে কাটছে। ঘাটে তারা দেখেছেন ফেরিতে গরু বোঝাই ট্রাক। গরুর ট্রাক নিতেই ফেরি লোড হয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা আর ফেরিতে ওঠার সুযোগ পচ্ছেন না। ঘাটে ফেরির সংখ্যা বেশি থাকলে তাদের এমন ভোগান্তি হত না বলে জানান।

কাজীরহাট ঘাটে খাবার হোটেল মালিক সালমান হোসেন জানান, তিনি বৃহস্পতিবার থেকেই যানজট লক্ষ্য করছেন। শনিবার সে জট দীর্ঘ হয়েছে। গাড়ির চালক- হেলপাররা দীর্ঘ পথ হেঁটে তার হোটেলে খেতে আসছেন।

তিনি জানান, ঘাটে খাবার হোটেল থাকলেও থাকার কোন হোটেল নেই। ফলে গাড়ির লোকজনের কষ্ট বেড়েছে।

কাজীরহাট এর স্থানীয় ব্যবসায়ি আয়ুব আলী জানান, তিনি শনিবার সকালে দেখেছেন মূল ঘাট থেকে বাঁধেরহাট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার শুধু ট্রাকের সারি।

বিআইডব্লিউটিসি’র কাজীরহাট এর ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান যানজটের কারণ হিসেবে কুরবানির পশুবাহী ট্রাক বেশি যাওয়ার কথা জানান।

তিনি জানান, কাজীরহাট ঘাটে এজন্য প্রায় ৫ শতাধিক ট্রাকের জট সৃষ্টি হয়েছে। ফেরির ট্রিপ সংখ্যা বাড়লে যানজট কমে যাবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও জানান, আরিচা-কাজীরহাট রুটে এখন ৩ টি ফেরি চলাচল করছে। একটি ফেরি নষ্ট হওয়ায় গত এক মাস ধরে সেটি চলছে না।

বিআইডব্লিউটিসি কাজীরহাট ঘাট ইনচার্জ খালেদ মোশারফ জানান, ফেরি দ্রুতই লোড - আনলোড হচ্ছে। তারপরও যানজট থেকে যাচ্ছে।

আমিনপুর থানার ওসি রওশন আলী শনিবার দুপুরে জানান, তিনিসহ থানা পুলিশের একটি টিম ঘাট এলাকায় অবস্থান করছেন। তারা শৃঙ্খলা ও নিাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করছেন। তাদের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের জন্য কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানান।

এদিকে শুক্রবার দুপুরে কাজীরহাট ঘাট পরিদর্শনে এসে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরি এমপি বলেছেন, শীঘ্রই আরিচা- কাজীরহাট রুটে আরেকটি রো-রো ফেরি দেয়া হবে। এ সময় বিআইডাব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান কমোডোর গোলাম সাদেক, পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন, পুলিশ সুপার মহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা উপকমিটির সদস্য কামরুজ্জামান উজ্জল, সুজানগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহীনুজ্জামান শাহিন, সুজানগর পৌর মেয়র রেজাউল করিম রেজা, বেড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবু, রুপপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল হাশেম উজ্জল, মাসুমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর ডিজিএম জিল্লুর রহমান শনিবার জানান, তারা আশা করছেন আরেকটি ফেরি সংযুক্ত হলে যানজট দ্রুত কমে যাবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত