ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

চবিতে ‘সিট দখল’ নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:১৮  
আপডেট :
 ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:৫৮

চবিতে ‘সিট দখল’ নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি
চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ।। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) আবাসিক হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক পক্ষের দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বিবাদমান গ্রুপ দুটি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

আহতরা হলেন- ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. সাব্বির ও একই শিক্ষাবর্ষের দর্শন বিভাগের মো. সীমান্ত। তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চবির সোহরাওয়ার্দী হলে ভিএক্স ও একাকার গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে এফ রহমান হলে একটি রুম দখলকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, এ এফ রহমান হলের কক্ষ দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপগ্রুপ ভিএক্স ও একাকার সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে সোহরাওয়ার্দী হলে একাকার গ্রুপের দুই সমর্থককে মারধর করে ভিএক্স গ্রুপ সমর্থকরা।

ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, কক্ষ দখল সংক্রান্ত কোনও ঝামেলা হয়নি। আমাদের প্রথম বর্ষের কিছু কর্মী রাতে সোহরাওয়ার্দী মোড়ে জড়ো হয়েছিল। পরে বাগবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সিনিয়রা মীমাংসা করে দিয়েছে।

একাকার গ্রুপের নেতা সালেহ আকরাম বাপ্পি জানান, গভীর রাতে ভিএক্স কর্মীদের অতর্কিত হামলায় আমাদের দুই কর্মী আহত হয়েছে। রোববার প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে চবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া জানান, রাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। পরে প্রক্টরিয়াল বডি বিষয়টি সমাধান করেছে। আহতদের একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। বন্ধ আবাসিক হলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে অবস্থান করে জানতে চাইলে প্রক্টর জানান, আমরা বিভিন্ন সময় হলে তল্লাশি চালিয়ে তাদের বের করে দেই। কোন শিক্ষার্থীরই এসময়ে হলে থাকার সুযোগ নেই। ভবিষ্যতেও তল্লাশি করা হবে।

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রাদুর্ভাব শুরু হলে গত বছরের ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশকিছু হলে ছাত্রলীগের কর্মীরা অবস্থান করছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত