ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভোলায় মহাবিপন্ন গৃধিনী শকুন অবমুক্ত

  ভোলা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:০৫

ভোলায় মহাবিপন্ন গৃধিনী শকুন অবমুক্ত
ছবি- প্রতিনিধি

ভোলার লালমোহন থেকে মহাবিপন্ন হিমালয়ী গৃধিনী প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছে বন বিভাগ। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভোলার চরফ্যাশন রেঞ্জের চরকচ্ছপিয়া এলাকায় বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে শকুনটি অবমুক্ত করা হয়।

ভোলা বন বিভাগের বণ্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, শনিবার ভোলার লালমোহন উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মিয়ারহাট এলাকায় শকুনটি একটি বাগানের মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা শকুনটি ধরে বন বিভাগে খবর দেয়। পরে বন বিভাগের লোকজন শকুনটি সেখান থেকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার দুপুরে জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরকচ্ছপিয়া এলাকার গহীন অরণ্যে অবমুক্ত করে।

ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির কো-অর্ডিনেটর ও বন্যপ্রাণী গবেষক সামিউল মেহেসানিন শকুটির ছবি দেখে এটিকে হিমালয়ী শকুন (Himalayan Griffon) বা হিমালয়ান গৃধিনী বলে চিহ্নিত করেন। হিমালয়ী গৃধিনী প্রজাতির এই শকুনগুলো বাংলাদেশে সচারাচর দেখা যায় না। ধারণা করা হচ্ছে উত্তরে প্রচণ্ড শীতের কারণে হিমালয় থেকে শকুনটি খাবারের সন্ধানে ভোলায় এসেছে।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে দ্রুততম বিলুপ্ত হতে চলা প্রাণী শকুন। তাই শকুন মাত্রই বিশ্বে ‘মহাবিপন্ন’ (Critically Endangered)। বাংলাদেশে শকুনের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) হিসেবে বাংলাদেশে মাত্র ২৬৮টি শকুন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পশু চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাক ও কেটোপ্রোফেনের ব্যবহার, খাদ্য সঙ্কট এবং বাসস্থান সঙ্কটসহ নানা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে প্রকৃতির ঝাড়ুদার হিসেবে পরিচিত এই পাখিটি হারিয়ে যাচ্ছে। শকুন বিলুপ্ত হয়ে গেলে সুন্দর একটি পাখি হারানোর পাশাপাশি দেশের মানুষ এনথ্রাক্স, জলাতঙ্কসহ পশু হতে সংক্রামক রোগের ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়বে। বন বিভাগসহ বিভিন্ন সংগঠন শকুন রক্ষায় নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাখিটির প্রতি প্রত্যেক মানুষের সদয় হওয়া প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত