ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

মিতু হত্যাকাণ্ড: তদন্তে থাকছে পিবিআই

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২২, ১২:২৯  
আপডেট :
 ২০ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:২৬

মিতু হত্যাকাণ্ড: তদন্তে থাকছে পিবিআই
নিহত মাহমুদা আক্তার মিতু, ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যাকাণ্ডে র‍্যাব বা সিআইডি তদন্তের জন্য করা আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। বর্তমান তদন্ত সংস্থা পিবিআই মামলাটি তদন্ত করবে। বাবুলের আইনজীবী গত বছরের ১৪ নভেম্বর এই আবেদন করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ জার্নালকে বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার (জিআরও) এস আই শাহীন ভূইয়া।

তিনি বলেন, বাবুল আক্তারের করা আবেদনটি আদলত খারিজ করে দিয়েছেন। এর আগে গতকাল বুধবার অতিরিক্ত চিফ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিম শুনানি শেষে এই আদেশ দেন বলে জানান তিনি।

এদিকে সম্প্রতি বাবুলের করা মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছিল আদালত। ২০২১ সালের ১৩ মে থেকে মিতুর বাবার করা মামলায় স্ত্রী হত্যার আসামি হয়ে আগে থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল আক্তার।

জানা যায়, বাবুলের শ্বশুর ও বাবুলের করা দুই মামলার তদন্তের ভার এখন পিবিআইর কাছে। দুটি মামলা তদন্ত করছেন পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।

স্বামী বাবুল আক্তারের সঙ্গে নিহত মিতু, ফাইল ছবি

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মিতুকে ঘিরে ধরে। প্রথমে তারা তাকে গুলি করে। এরপর কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। ওই সময় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।

এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন বাবুল আক্তার। মামলাটি চট্টগ্রামের নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ৩ বছর ১১ মাস তদন্তে থাকার পর গত বছরের মে মাসে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়।

তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এরপর মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে গত ১২ মে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় এজাহার দায়ের করেন।

সন্তানদের সঙ্গে বাবুল আক্তার ও নিহত মিতু, ফাইল ছবি

এজাহারে সাবেক এসপি মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার, কিলিং স্কোয়াডের সদস্য মো. কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু ওরফে কসাই কালু, মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার ওরফে সাকু মাইজ্যা ও শাহজাহান মিয়াকে আসামি করা হয়েছিলো। যদিও এদের মধ্যে ২ জন পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' ইতোমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন এবং বর্তমানে জেলে আছেন ২ জন। পুলিশের তথ্যমতে, কিলিং স্কোয়াডের নেতৃত্বদানকারী মুসা পলাতক রয়েছেন।

এছাড়া স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুল আক্তারকে পাঁচ দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। রিমান্ড শেষে প্রথমে আদালতে জবানবন্দি দেয়ার কথা থাকলেও পরে জবানবন্দি দেননি বাবুল। ২৯ মে থেকে বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে আছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত