ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

একটি শ্রেণি পরাধীন থাকতে চায়

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:০৮  
আপডেট :
 ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:১৯

একটি শ্রেণি পরাধীন থাকতে চায়
ছবি- সংগৃহীত

এদেশের একটি শ্রেণি সেই অতীত কাল থেকেই পরাধীন হয়ে থাকতে চায়। সেই শ্রেণিটি এখনো আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশেই একটি শ্রেণি আছে যারা আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে জানে না। তারা আত্মমর্যাদা বিকিয়ে দিয়েই টিকে থাকতে চায়। তারা পরাধীন হয়ে থাকতে পছন্দ করে।

এদেশের গৌরব, সমৃদ্ধি, উন্নয়ন তারা চোখে দেখে না। আমার অবাক লাগে তাদের চিন্তাধারা দেখে।

বঙ্গবন্ধুর লেখা থেকে উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন, 'বাংলাদেশের মাটি উর্বর এখানে ফসলের সাথে পরগাছাও জন্মে।' তাই এগুলো নিয়ে চিন্তা করি না। এগুলো থাকবেই।

বাঙালির ইতিহাস রক্তের আর আত্মত্যাগের ইতিহাস উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রক্তদান কখনো বৃথা যায় না। আমরা তা প্রমাণ করেছি। রক্ত ত্যাগের মাধ্যমেই আমরা আমাদের ভাষার অধিকার ও স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে আপনারা দেখবেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বন্দী নয়, কারাগারের বাইরে থেকেও অনেক জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছেন। ভাষা আন্দোলনের সম্পৃক্ত থেকে প্রকাশ্যে গোপনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ক্রমান্বয়ে আরো আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ছয় দফা অতঃপর একাত্তরের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন আমাদের।

বঙ্গবন্ধু আজীবন ঝুঁকি নিয়েছেন বাংলার মানুষের জন্য। বাঙালির জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন তিনি।

মানুষ মনের কথা বুঝতে পারতেন বঙ্গবন্ধু উল্লেখ করে তিনি বলেন, সত্তরের নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন, মাত্র দুটি আসনে আমরা জিততে পারব না। নির্বাচনের পর দেখা যায় তিনি মাত্র দুইটি আসন বাকি রেখে আর সব আসনেই জয়লাভ করেছেন। সাড়ে তিন বছরের মধ্যে তিনি একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলেছিলেন। স্বাধীন দেশের মর্যাদা এনে দিয়েছিলেন।

বাঙালি প্রবল আত্মসম্মান সম্পন্ন জাতি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই বাঙালি মাথা উচু করে বাঁচবে। এসময় নিজের হাত মুষ্টিবদ্ধ করে উপরে তোলে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়, মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এআর/এমজে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত