ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জে ৩ হাসপাতালে পানি

  সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২০ মে ২০২২, ১৬:১৯

পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জে ৩ হাসপাতালে পানি

সুনামগঞ্জে গত কয়েকদিন ধরেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে ঝড়-বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। গত ১০ দিন ধরেই এই অবস্থা চলছে জেলাজুড়ে।

এদিকে পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জ জেলা শহরের বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, ছাতক উপজেলার কৈতক ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ও তাহেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিচতলায় পানি ঢুকে পড়েছে। কোথাও চিকিৎসকদের আবাসিক কোয়ার্টারও প্লাবিত হয়ে গেছে। এতে রোগী ও চিকিৎসক উভয়েই ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।

শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জ শহরের কালিপুর, ওয়েজখালি, হাজিপাড়া, তেঘরিয়া, নবীনগর, পূর্ব নতুনপাড়া, হাসননগরসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নতুন করে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। শহরের বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।

জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন আব্দুল্লাহ আল বেরুনি খান গণমাধ্যমকে বলেন, জেলার তিনটি হাসপাতালে পানি উঠেছে। এর মধ্যে দুটি হাসপাতালের ভিতরে পানি ঢুকে গেছে। আর তাহেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কম্পাউন্ডে পানি ঢুকেছে। হাসপাতালের ভিতরে এখনও যায়নি। বৃষ্টি আরও হলে বন্যায় পানি হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পড়বে। সেখানে রাস্তাঘাট ভেঙে পড়ায় রোগীরা আসতে পারছে না। মানুষের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে।

ডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে জানিয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জন বলেন, উপজেলাগুলোতে পর্যাপ্ত ওরস্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাঠানো হয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার উপরে আছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমার পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে তিন সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলাসহ কয়েকটি স্থানে ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ছাতকে ১০০টি পরিবার এবং দোয়ারাবাজারে ৩০টি পরিবার সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে শুকনো খাবার, রান্না করা খাবার এবং সাড়ে ১৪ কেজির শুকনো খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বানভাসীদের মধ্যে বিতরণের জন্য ১৪০ মেট্রিক টন জিআরের চাল, ১২ লাখ টাকা ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ শুরু হয়েছে।

প্রশাসন বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি রেখেছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত