ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

মাল্টা চাষে শাহাজাহানের বেকারত্ব জয়

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২২, ০৮:২৩  
আপডেট :
 ২৫ মে ২০২২, ০৮:২৮

মাল্টা চাষে শাহাজাহানের বেকারত্ব জয়
ছবি: সংগৃহীত

দুই যুগেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে গ্রাজুয়েশন করেছেন শাহাজাহান। বেকারত্ব ঘোচাতে নানা পদক্ষেপ নিলেও আসেনি সফলতা। অবশেষে মাল্টা চাষে বেকারত্বকে জয় করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে পেয়েছেন সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন ও সাহস। তার সাফল্য দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন মাল্টা চাষে।

শাহাজাহানের বাড়ি কুমিল্লার লাকসামে। সেখানে এক একর জমিতে তিনি গড়ে তুলেছেন মাল্টা বাগান।

সম্প্রতি শাহাজানের মাল্টা বাগান ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি গাছে পাতার ফাঁকে-ফাঁকে ঝুলছে নজরকাড়া রসালো মাল্টা। প্রতিদিন দূরের ও কাছের অনেকে আসেন শাহাজানের মাল্টা বাগানে। এদের মধ্যে কেউ দর্শণার্থী, কেউ মাল্টা ব্যবসায়ী আবার কেউ মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে আসেন পরামর্শ নিতে।

শাহাজাহান বলেন, বাড়ির পাশে মাল্টা চাষের জন্যে উপযোগী উঁচু এক একর জমিতে বারী-জাতের ২৫০টি মাল্টার চারা রোপণ করি তিন বছর আগে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও সঠিক পরিচর্যায় স্বল্প সময়ের ব্যবধানে গাছ বড় হয়ে মাল্টা ধরতে শুরু করে। সবুজ রঙের এ মাল্টা তুলনামূলক অন্য জাতের মাল্টার চেয়ে রসালো ও স্বাদে বেশ মিষ্টি। ফলে বাজারে এ মাল্টার চাহিদাও বেশি।

শাহাজাহান আরও বলেন, লাকসামে বাণিজ্যিকভাবে বড় পরিসরে আমিই প্রথম মাল্টা চাষ শুরু করি। পর্যাপ্ত ফলন ও আশানুরূপ বাজার দর পাওয়ায় একদিকে যেমন বেকারত্ব থেকে মুক্তি মিলেছে অন্যদিকে সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা। পাশাপাশি আরও এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মাল্টা চাষের পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে লাকসাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফুজ্জামান বলেন, মাল্টা চারা রোপণের দুই থেকে তিন বছর মধ্যেই ফল পাওয়া শুরু হয়। এই এলাকার মাটি ও আবহাওয়া মাল্টা চাষের জন্য যথেষ্ট উপযোগী। শুরু থেকেই মাল্টা চাষি শাহজাহানকে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ। তার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে উপজেলায় আরও অনেকে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ শুরু করেছেন। তাদেরও প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।

সূত্র: বাসস।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত