সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২২, ০৯:৪৬
যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করায় সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। জেলার দুটি পয়েন্টে পানি কমে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যাকবলিত এলাকার কিছু কিছু বসতবাড়ি থেকে নামতে শুরু করেছে পানি। এছাড়া যমুনায় পানি কমায় অন্যান্য নদ-নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় (২৭ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি ২৮ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৬৫ সেমি ও কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫৭ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এক দিনের ব্যাবধানে যমুনায় পানি কমেছে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ২৮ সেমি ও কাজীপুর পয়েন্টে ২৪ সেমি।
সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় শহরের হার্ডপয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি ২৮ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ও কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি খুব দ্রুত কমছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চল থেকেও পানি নেমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে চলতি বন্যায় জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে ৯ হাজার ১০৬ হেক্টর জমির রোপা আমন, তিল, মরিচ, বাদাম, রোপা আমন, শাক-সবজি, বীজতলাসহ উঠতি ফসল পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্থানীয় কৃষকরা।
অন্যদিকে জেলার নদী তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চল এলাকার ৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এছাড়া জেলায় প্রায় ৫৬৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে বন্যার্তদের জন্য ১৮৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানিবন্দি মানুষের চিকিৎসার জন্য ২৩টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক কাজ করছে এসব টিম।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ