ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

টাঙ্গাইলে আলোচিত শিহাব হত্যা মামলার চার আসামি কারাগারে

  টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২২, ২০:১৮  
আপডেট :
 ১০ আগস্ট ২০২২, ২০:২৩

টাঙ্গাইলে আলোচিত শিহাব হত্যা মামলার চার আসামি কারাগারে
ছবি: প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে বহুল আলোচিত স্কুলছাত্র শিহাব হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামি আত্মসমর্পণ করেছেন। বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইলের ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মাসুদ পারভেজের আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক শোনার পর বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আত্মসমর্পণ করা আসামিরা হলেন- মামলার দুই নং আসামি বিপ্লব (৩০), তিন নং আসামি আশরাফ (৩০), চার নং আসামি মাসুম (৪০) ও ছয় নং আসামি বিজন (৪০)।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এস আকবর খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন। তবে উচ্চ আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর না করে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন করার জন্য নির্দেশনা দেন।

আজ বুধবার সেই নির্দেশনার শেষ দিন আসামিপক্ষের আইনজীবীর মাধ্যমে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক শোনার পর বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মো. রাসেল রানা। অপরদিকে আসামি পক্ষে মামলাপরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম রিপন।

আত্মসর্মপণের আগে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বিজন বলেন, আমরা এতোদিন নিয়মিত স্কুলে গিয়েছি, ক্লাস নিয়েছি। গত ৩০ জুন উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেই। আজ টাঙ্গাইলে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছি।

নিহত শিহাবের বাবা ইলিয়াস হোসেন বলেন, পুলিশ সৃষ্টি একাডেমির পরিচালক রিপনের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। তাই পুলিশ আর কোনো আসামি গ্রেপ্তার করেনি। আল্লাহর ইশারায় তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।

আরও পড়ুন: আত্মহত্যা নয়, সৃষ্টি স্কুলের আবাসিক ছাত্র শিহাবকে শ্বাসরোধে হত্যা

উল্লেখ্য, গত ২০ জুন শহরের সুপারি বাগান এলাকায় সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের আবাসিক ভবনের সাত তলা থেকে শিহাব মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শুরু থেকেই শিশুটিকে হত্যার অভিযোগ তুলে আসছিল তার পরিবার। এ ঘটনায় প্রাথমিক পর্যায়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশের পর র‍্যাব সাতজন শিক্ষক ও পুলিশ দুইজন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে র‍্যাব তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য না পাওয়ায় তাদের সাতজনকে ছেড়ে দেয়।

পরে ২৭ জুন নিহত শিহাবের মা বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলেরআবাসিক শিক্ষক আবু বক্কর, বিপ্লব, আশরাফ, মাসুদ, মতিন ও বিজন। পুলিশ মামলার আগে শিক্ষক নাসির ও আবু বক্করকে আটক করলেও মামলায় নাসিরের নাম না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত