ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

বিচারকের মামলায় দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:৪০

চট্টগ্রামে বিচারকের মামলায় দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

চট্টগ্রামে মিথ্যা স্বর্ণ চোরাচালান মামলা করে এক শিশুকে আসামি করা ও আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় পুলিশের দুইজন এসআই (উপ-পরিদর্শক) এর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলার আবেদন করেন শিশু আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ চট্টগ্রামের বিচারক ফেরদৌস আরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর পিপি খন্দকার আরিফুল আলম।

আসামিরা হলেন- পতেঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ও সুবীর পাল।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর পিপি খন্দকার আরিফুল ইসলাম জানান, মিথ্যা মামলায়, মিথ্যা পুলিশের রিপোর্ট ও সাক্ষী দেওয়ায় এসআই আনোয়ার হোসেন ও সুবীর পালের বিরুদ্ধে মামলার করেছেন বিচারক। অভিযোগে পেনাল কোডের ১৭৭, ১৮১, ১৯৩ ৫ ২১১ ধারায় মামলা দায়ের করা করা হয়। সাধারণভাবে এ ধরনের মামলা হয় না, এটা বিরল মামলা।

এদিকে দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলার পর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দুইটি সোনার বার পাচারের অভিযোগে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার বাটারফ্লাই পার্ক থেকে নাজমুল হাসান জুয়েল নামে এক শিশুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরের দিন ওই শিশুর বিরুদ্ধে এসআই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সোনার বার পাচারের মামলা করে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় পতেঙ্গা থানার এসআই সুবীর পাল।

তদন্ত শেষে শিশু নাজমুলকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ৩ অক্টোবর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের গত ৪ সেপ্টেম্বর শিশুটি নির্দোষ বলে রায় দেন আদালত। মামলাকে সত্য প্রামাণিত করতে এজাহারকারী তার দায়েরকৃত মামলার সমর্থনে আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেন।

সোনার বারের কাগজপত্র উপস্থাপন করা সত্ত্বেও তা আমলে না নিয়ে মামলা দায়ের করেন ওই পুলিশ সদস্য। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজস্ব অফিস হতে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ না করে মামলার বাদী পুলিশ কর্মকর্তাকে বাচানোর জন্য মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্তকারী কর্মকর্তা। প্রকৃত সত্য জানার পরও মিথ্যা প্রতিবেদনের স্বপক্ষে শপথ গ্রহণপূর্বক আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করেন তিনিও। এ মামলায় শিশুটি সম্পূর্ণ নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল তারিখ থেকে ১ মাস ৬ দিন জেল হাজতে আটক থাকার পর একই বছর ২৮ মে জামিন পান।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত