ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

কিছুতেই একটা ডিমের দাম ১৩ টাকা হতে পারে না: কৃষিমন্ত্রী

  গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:৩২

কিছুতেই একটা ডিমের দাম ১৩ টাকা হতে পারে না: কৃষিমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখছেন কৃষিমন্ত্রী। ছবি: প্রতিনিধি

কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, একটা ডিমের উৎপাদন করতে খরচ পড়ে ৫/৬ টাকা। এটাকে ৮ টাকা নেয়া যেতে পারে, কিন্তু তা না করে ১৩/১৪ টাকা করে কেনো হবে? এটা কি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না? সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা নিয়ে এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কিছুতেই একটা ডিমের দাম ১৩ টাকা হতে পারে না, ১৪ টাকা হতে পারে না।

বৃহস্পতিবার গাজীপুর কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে আমাদের ডিম আমদানির দরকার নেই। তাহলে আমরা আমদানি নির্ভরশীল হয়ে যাবো। এতে অনেকে দ্বিমত পোষণ করবে। এজন্য আমাদের একটু কষ্ট হবে, নইলে ডিম কম খাবো। তারপরও স্থানীয়ভাবে আমাদের ডিম উৎপাদন করে খেতে হবে। দেখা গেছে যখনই বাজারে সরবরাহ কমে যায় তখন কিছু হ্যাচারি মালিক, ফার্মের মালিক নানারকম চক্রান্ত করে ডিমের দামটা বেশি নেয়। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিয়ে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি আগেও বলছি, এখনও বলছি। আমি জানি এ নিয়ে সমালোচনা হবে। তারপরও আমি বলবো ডিম আমদানি করার দরকার নাই। এজন্য আমাদের হয়তো সাময়িক কষ্ট হবে। আমাদের যে প্রযুক্তি আছে এবং বাণিজ্যিকভাবে আমাদের যে সংখ্যক ফার্ম আছে, ইচ্ছা করলে ডিম দিয়ে বাংলাদেশ ভাসিয়ে দেয়া যেতে পারে। ডিম যদি আমদানি করা হয়, তবে আমদানি নির্ভর হয়ে যাবো আমরা। সেটা কি আমরা সাপোর্ট করি? না, এখন ডিম আমদানি করার দরকার নাই।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এ পর্যন্ত বিভিন্ন ফসলের অনেক উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। কিন্তু এসব প্রযুক্তির অধিকাংশই কৃষকের কাছে সেভাবে পৌঁছায়নি। তাই দেশের কৃষির উন্নয়নে এসব জাত ও প্রযুক্তি দ্রুত সময়ের মধ্যে কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) রুহুল আমিন তালুকদার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ. গাফ্ফার খান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।

এর আগে মন্ত্রী বারি’র কৃষি প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি ও ফসল প্রদর্শনীর স্টল ঘুরে দেখেন। অনুষ্ঠানে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বারি’র মহাপরিচালক জানান, উদ্বোধনী এ কর্মশালার কারিগরি অধিবেশন আগামী ১৩-১৯ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। বর্তমানে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে ২১১টি ফসল নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে বারি ৬২৫টি উচ্চ ফলনশীল জাত এবং ৬১২টি উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তিসহ মোট ১ হাজার ২৩৭টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এ সকল প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য সব ধরনের ফসলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত