ঢাকা, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে লাখো মানুষের ঢল

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২২, ১৪:২৮  
আপডেট :
 ০৯ অক্টোবর ২০২২, ১৪:৪১

চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে লাখো মানুষের ঢল
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) জশনে জুলুস। ছবি: প্রতিনিধি

লাখো মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) জশনে জুলুস। নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর, নারায়ে রিসালত ইয়া রাসুলাল্লাহ, হামদ, নাত, দরুদে মুখরিত হয় জুলুস ও আশপাশের এলাকা। এটি চট্টগ্রামের ৫০তম জুলুস। আর এই জশনে জুলুসকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জুলুস হিসেবে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলতে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনও করেছে আয়োজনকারী সংস্থা আনজুমান-এর রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট।

রোববার (৯ অক্টোবর) সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ্’র নেতৃত্বে এই জুলুস শুরু হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে আছেন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মজিআ)। বিশেষ অতিথি হিসেবে আছেন সাহেবজাদা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ (মজিআ)। জোহরের নামাজ শেষে করা হয় দোয়া ও আখেরি মোনাজাত।

ধর্মীয় স্লোগান, দরুদ, মিলাদের সঙ্গে এই জুলুস ষোলশহর মাদ্রাসা থেকে শুরু হয়ে নগরীর মুরাদপুর, মির্জারপুল, কাতালগঞ্জ হয়ে অলিখাঁ মসজিদ চকবাজার, কেয়ারি মোড়, প্যারেড ময়দানের পশ্চিম পাশ হয়ে চট্টগ্রাম কলেজ, গণি বেকারি, খাস্তগীর স্কুল, শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ রোড হয়ে আসকার দিঘী, কাজীর দেউরি, আলমাস, ওয়াসা, জিইসি, দুই নম্বর গেট দিয়ে পুনরায় বিবিরহাট জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন জুলুস ময়দানে গিয়ে শেষ হয়।

জুলুসকে ঘিরে মুরাদপুর, বিবিরহাট, মাদ্রাসা এলাকায় শত শত টুপি, মাস্ক, আতর, সুরমা, তসবিহ, পাঞ্জাবি, ইসলামি বই, খাবার দোকান বসেছে। জুলুসকে ঘিরে চট্টগ্রাম সেজেছে বর্ণিল সাজে। গাউসিয়া কমিটি, আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন তোরণ, সড়কদ্বীপ, সড়ক বিভাজক সাজিয়েছে। জুলুসের মেহমানদের শরবত, চকলেট, খেজুর, জিলাপি, জুস বিতরণ করছেন অনেক ভক্ত। নারী, শিশুরা বিভিন্ন ভবনের ছাদ, জানালা দিয়ে স্বাগত জানান জুলুসকে।

গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বলেন, জুলুসে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের (এএসএফ) তিন হাজার, গাউসিয়া কমিটির নেতা-কর্মী ও জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্র মিলে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। যথারীতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সালে (১৩৯৫ হিজরি) থেকে আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (র.) নির্দেশনা ও রূপরেখা অনুসারে দেশে সর্বপ্রথম জশনে জুলুস আত্মপ্রকাশ করে। সর্বপ্রথম জুলুস চট্টগ্রামের কোরবানিগঞ্জ বলুয়ারদীঘি পাড়ের খানকাহ এ কাদেরিয়া সৈয়দিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে শুরু হয়।

আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় দেশের প্রথম জশনে জুলুসে নেতৃত্ব দেন আনজুমান ট্রাস্টের তৎকালীন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ আল কাদেরী। আর ১৯৭৬ সালে হুজুরকেবলা তৈয়্যব শাহ (র.) বাংলাদেশে সফরে আসেন। এরপর তিনি নিজেই জুলুসে নেতৃত্ব দেন, যা ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তিনি প্রতিবছর ৯ রবিউল আউয়াল ঢাকা এবং ১২ রবিউল আউয়াল চট্টগ্রামে আয়োজিত জশনে জুলুসে নেতৃত্ব দেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/রাজু

  • সর্বশেষ
  • পঠিত