ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

মেহেরপুরে সহোদর হত্যায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

  মেহেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৩:৩৫  
আপডেট :
 ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:৫৭

মেহেরপুরে সহোদর হত্যায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড
ফাইল ছবি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামে সহোদর রফিকুল ও আবুজেলকে হত্যার দায়ে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের কিয়ামতের ছেলে হালিম (৩৫), আছের উদ্দিনের ছেলে আতিয়ার (৪০), নজির আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৪০), মৃত দবীর উদ্দিনের ছেলে শরিফ (৪০) ও ফরিদ (৪৫), আব্দুল জলিলের ছেলে জালাল উদ্দিন (৪৩), আফেল উদ্দিনের ছেলে আজিজুল (৩৬), মুনছারের ছেলে মনি (২৫), নজির উদ্দিনের ছেলে দবির উদ্দিন (৩২)। এর মধ্যে জালাল উদ্দিন পলাতক রয়েছেন। বাকিরা রায় প্রদানের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলায় পাঁচ আসামি আরিফ, রাজিব, আলমেস, হারুন ও ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকুসর খালাস প্রদান করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ৫ জুন কাজীপুর গ্রামের একটি মাঠ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেনসিডিল জব্দ করে বিজিবি। বিজিবিকে ফেনসিডিল ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে রফিকুল ইসলাম ও আবু জেল নামে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে রফিকুলকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন অভিযুক্তরা। এ সময় চিৎকারে শুনে আশপাশের লোকজন রফিকুলকে উদ্ধার করে। পরে ১৫ জুন রাত ১০টায় বিষয়টি মীমাংসার জন্য দুই ভাইকে ডেকে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। এরপর থেকে তাদের আর খোঁজ মিলছিল না। পরদিন ভোরে কাজীপুর গ্রামের ভারতীয় সীমান্ত থেকে দুই ভাইয়ের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতদের বোন জরিনা বেগম গাংনী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট কাজী শহীদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ২০১২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলায় তিনজন আসামি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে রোববার দুপরে আদালত এ রায় দেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত