বিধ্বস্ত বিমানে ছিলেন ৩৩ বাংলাদেশি
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০১৮, ১৮:৩৬ আপডেট : ১২ মার্চ ২০১৮, ১৮:৪৭
নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস বাংলার বিমানটিতে ৩৩ বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন।
সোমবার বিকাল পাঁচটার দিকে ইউএস বাংলার কার্যালয়ে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলন করেন ইউএস বাংলা মুখপাত্র। এসময় ইউএস-বাংলার একজন মুখপাত্র জানান, বিমানে ক্রুসহ মোট ৭১ জন ছিলেন। যাত্রী ছিলেন ৬৭ জন। এর মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়া ৩২ জন নেপালি, একজন করে মালদ্বীপ ও চীনের যাত্রী ছিলেন।
ইউএস বাংলার পক্ষ থেকে ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করতে ২ জনকে কাঠমাণ্ডুতে পাঠানো হয়েছে। তারা জানিয়েছেন প্রতি এক ঘণ্টায় তারা সংবাদ সম্মেলন করবেন।
এছাড়াও তিনি আরো জানান, ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ৭৮ আসনের বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু মেম্বার ছিলেন। এই বিমানের পাইলটের নাম ক্যাপটেন আবেদ।
পরিচয় মিলেছে কাঠমাণ্ডুতে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স-এর বিমানে থাকা আরও চার যাত্রীর।
তারা হলেন মো. খাজা হোসেন, পৃথিলা রশিদ, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল হোসেন, এবং রুয়েটের সহকারী অধ্যাপক ইরানা কবীর হাসি।
এর আগে জানা যায় বিমানটিতে ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের উম্মে সালমা ও নাজিয়া আফরিন চৌধুরীও।
ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ, ২৭ জন নারীর সঙ্গে ছিল দুই শিশুও।
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭৮ আসনের বোম্বার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ-৪০০ মডেলের উড়োজাহাজটি স্থানীয় সময় ২:২০ মিনিটে বিধ্বস্ত হয়। এসটু-এইউজি নামে নিবন্ধিত ফ্লাইটটি ঢাকা ছেড়েছিলো দুপুর ১:৪৩ মিনিটে।
বিমানবন্দরের আরেক মুখপাত্র বীরেন্দ্র প্রসাদ শ্রেষ্ট জানিয়েছেন এই মুহূর্তে বিধ্বস্ত বিমানের আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় আছেন তারা।
দুর্ঘটনার পরপরই বিমানবন্দরটিতে সবধরণের উড়োজাহাজের ওঠা-নামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারের বিএস-২১১ ফ্লাইটের যাত্রীদের তালিকা পাওয়া গেছে। যাত্রীদের মধ্যে ৬২ জনের নাম:
রিজনা আব্দুল্লাহ, ফয়সাল আহম্মেদ, শামরিন আহম্মেদ, ইয়াকুব আলী, আলিফুজ্জামান, আলমুন নাহার অ্যানি, বিলকিস আরা, শিলা বসগেইন, নুরুন্নাহার বেগম, আলজিনা বরাল, চরু বরাল, আক্তারা বেগম, শাহীন ব্যাপারী, সোভিন্দ্র বোহারা, বসন্ত বোহারা, সামিরা বাজানকার, প্রবীণ চিত্রকর, নাজিয়া চৌধুরী, সাজেনা দেবকোটা, প্রিন্সি ধামী, গয়োন্ত গ্রুঙ, রেজোয়ানুল হক, রকিবুল হাসান, মেহেদী হাসান , মো. কবির হোসেন, দিনেশ হুমাগাইন, সানজিদা হক, হাসান ইমাম, মো. নজরুল ইসলাম, শ্রেয়া ঝা, পূর্নীমা লোহানী, মিলি মহারাজন, নিগা মহারাজন, সঞ্জয় মহারাজন, ঝাং মিং, আখি মনি, মিনহাজ বিন নাসির, শেকব পান্ডে, প্রশন্ন পান্ডে, বিনোদ রাজ পাডোয়াল, শঙ্কর হরি পাডোয়াল, সঞ্জয় পাডোয়াল, এফএইচ প্রতিক, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মতিউর রহমান, শেখ রুবায়াত, কৃষ্ণ কুমার শাহানী, উম্মে সালমা, আসেনা শাকিয়া, সানাম শাকিয়া, অঞ্জিলা শ্রেষ্ঠা, সারোনা শ্রেষ্ঠা, সত্য শর্মা, হরিপ্রশাদ সুবেদি, দয়ারাম তাম্রকার, বাল কৃষ্ণ থাপা, সেতা থাপা, কিশোর ত্রিপাঠি, অবদেশ কুমার যাদব, অনিরুদ্ধ জামান নুরুজ্জামান, রফিক জামান।
/এসকে/
আরও পড়ুন :