ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ২১:২২

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১
জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর কালিয়াকৈর এলাকায় গ্যাসের আগুনে জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাওহীদ (৭) নামে আরও এক শিশু মারা গেছেন। এ ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে শিশু তাওহীদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গাজীপুরের ঘটনায় সন্ধ্যার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাওহীদ নামে এক শিশু মারা গেছে। তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

তাওহীদের চাচা মো. আসাদ গণমাধ্যমকে জানান, তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায়। গাজীপুরে সজল সুমাইয়া দম্পতির ছেলে তাওহীদ। এ ঘটনায় তাওহীদের ছোট বোন তায়েবা (৩) গত শনিবার মারা যায়। তাওহীদের বাবা মো. সজল পেশায় গাড়ি চালক ও মা সুমাইয়া আক্তার গৃহিনী। এ দুর্ঘটনার সময় দুই ভাই-বোন রাস্তায় খেলছিল। তখনই গ্যাসের আগুনে তারা দগ্ধ হয়।

এরআগে, সকালে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারা দুই জন সোলায়মান (১০) রাব্বি (১১)।

সোলায়মান ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার শফিকুল ইসলামের ছেলে। শিশুর রাব্বি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার মো. শাহ আলমের ছেলে।

এছাড়া রোববার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জহিরুল ও মোতালেব নামে দুই জনের মৃত্যু হয়। একই দিন রাতে স্ত্রী নার্গিস ও সকালে স্বামী মহিদুল (৩০) এবং আরিফুল ইসলাম (৩৫) নামের আরও একজন মারা যান।

শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তায়েবা (৩) নামে দগ্ধ এক শিশু ও ভোরে মনসুর (৩২) নামে দুজনের মৃত্যু হয়। আর শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে সোলাইমান মোল্লা (৪৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়। তারা সবাই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুন থেকে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, তেলিরচালা টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী শ্রমিক কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। তার বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের দোকান থেকে তিনি নতুন গ্যাস সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন। বাড়িতে সেটি লাগানোর সময় সিলিন্ডারের চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। তখন তিনি গ্যাস সিলিন্ডারটি ছুড়ে মারেন বাইরে। এ সময়ে বিস্ফোরণে আশপাশে থাকা শিশু, নারী ও পথচারীর শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৩৪ জন দগ্ধ হন।

পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে কোনাবাড়ী এলাকার কয়েকটি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/আইজে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত