ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা মাশরাফির শহর

  নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৪২

নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা মাশরাফির শহর

নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার নিজ হাতে গড়া নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের উদ্দোগে নড়াইলবাসীর সার্বিক নিরাপত্তায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৬২টি সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়েছে । শহরের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন এবং সিডনিশান ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সিসি ক্যামেরা ও মনিটর স্থাপন সংক্রান্ত এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ঢাকার গুলশানে দাহুয়া-সিডনিশান সেন্টারে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সিডনিশান ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী সাগর টিটো। এ চুক্তি স্বাক্ষরের পর নড়াইল শহরের ১৫টি পয়েন্টে ৩৮টি ক্যামেরা এবং লোহাগড়া পৌর এলাকার ৫টি পয়েন্টে ২৪টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

নড়াইল বাস মালিক সমিতির সদস্য মেশকাতুল ওয়ায়েজিন লিটু বলেন, শহর সিসিটিভি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে আনার কারণে এখন থেকে কেউ অপরাধ করতে গেলে ভয় পাবে। আর কেউ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করলেও পুলিশ সহজেই তাকে আইনের আওতায় আনতে পারবে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন, মাশরাফি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকে নড়াইলের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছেন। আর এখন তিনি জন প্রতিনিধি তাই জনগণের জান-মালের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই এমন উদ্দোগ গ্রহণ করেছেন।

এ কাজের ডিজাইনার ও সমম্বয়কারী এম সাব্বির হোসেন বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২৫ লাখ টাকা। প্রথম দুই বছর সিডনিশান ইন্টারন্যাশনাল এবং পরবর্তীতে নড়াইল জেলা পুলিশ এবং নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশান এটির মেন্টেইন করবে।

নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম অনিক বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনে স্পন্সর করছে সিডনিশান ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ক্যামেরা ডিসট্রিবিউটরি প্রতিষ্ঠান। নড়াইলের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রাথমিক অবস্থায় ৬২টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এর পর জেলার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান সিসিটিভির আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এসব সিসিটিভি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে আমাদের কার্যালয় থেকে। এর ফলে নড়াইলে মোটরসাইকেল চুরি, ইভটিজিং, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমবে এবং জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আগামিতে জেলার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান সিসিটিভির আওতায় আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত