সুবর্ণচরে গণধর্ষণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলো আসামি
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৩৮
গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের মধ্যম বাগ্যা গ্রামে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে আরও একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবাদনবন্দি দিয়েছে। এনিয়ে এই মামলায় গ্রেপ্তার ১১ জনের মধ্যে ৭ জন অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবাদনবন্দি দিয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের জানান, শুক্রবার ভোরে জেলা কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকা থেকে এই ঘটনায় জড়িত হেঞ্জু মাঝিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবাদনবন্দি দিতে রাজি হলে শনিবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। বিকেলে জেলার ২ নং আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সোয়েব উদ্দিন খান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, ‘এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হাসান আলী বুলু। ভোটকেন্দ্রে তার সঙ্গেই ওই নারীর ঝামেলা হয়েছিল৷ পরে সে দশ হাজার টাকায় কয়েকজন ইটভাটা শ্রমিককে ভাড়া করে৷’
হেঞ্জু মাঝি (২৯) সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে। চাঞ্চল্যকর এই মামলায় পুলিশের তদন্ত, ভুক্তভোগী এবং ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জবানবন্দিতে ঘটনার সাথে জড়িতদের মধ্যে তার নাম উঠে আসে। ঘটনার পর সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীবাহী বাসে চালকের সহকারী হিসেবে কাজে যোগ দেয়। তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শুক্রবার ভোরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী এখন নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে জানিয়ে ইতোমধ্যে প্রতিবেদন দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ