ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

প্রভাবশালীদের কবলে নদী-খাল

  নবাবগঞ্জ (দোহার) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:০২

প্রভাবশালীদের কবলে নদী-খাল

ঢাকার নবাবগঞ্জে ১৪টি ইউনিয়নের প্রভাবশালীদের কবলে পড়ে অধিকাংশ খাল, বিল হারিয়ে গেছে। দখল হচ্ছে নদীর বিভিন্ন অংশ।

অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন হাট বাজারের ব্যবসায়ীগণ ইছামতি নদীতে বর্জ্য ফেলার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতীর মাছ ও বিভিন্ন জলজ প্রাণী।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, খালগুলো পুনরুদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই। বর্ষা মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। উপজেলা সদরের কলাকোপা ইউনিয়নে অবস্থিত বননগর, কলাকোপা, রাজপাড়া এলাকা দিয়ে প্রবাহিত শতকোটি টাকার সরকারি খালটি দখল, দূষণ ও দীর্ঘ সময় খনন না করার কারণে এক শ্রেণীর কথিত রাজনীতিবীদ, ব্যসায়ী ও প্রভাবশালীরা বিভিন্ন কৌশলে খালের গতি পথ রোধ করে আবাস স্থল নির্মাণ করেছে। আর এভাবেই হারিয়ে যাচ্ছে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত সকল শ্রেণীর জলাশয়।

এছাড়া অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন জলাশয় ভরাটের কারণে মারাত্মক জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে নবাবগঞ্জবাসী। বর্ষা ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রাকৃতিক খালগুলো পুনরুদ্ধারে জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কোনো উদ্যোগও নেই বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

উপজেলার কৈলাইল সোনারগাঁও, কাটাখালি দিয়ে প্রবাহিত খালটি ইতোমধ্যে দখলের শেষ পর্যায়ে। ভবন নির্মাণ করে দখল করে নিচ্ছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ফলে খালটি এখন সরু হয়ে কোনো রকম টিকে আছে।

এছাড়াও নবাবগঞ্জের ইছামতি নদীর বিভিন্ন অংশ দখল করে রেখেছেন বিভিন্ন প্রভাবশালীরা। মাঝে মধ্যে নদী কমিশনের লোক আসলেও দখল উচ্ছেদে তাদের কোন কার্যক্রম নেই বলে অভিযোগ করেন উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহিদ হায়দার উজ্জল।

শুধু খালই নয়, নবাবগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশনের খালগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার কোনো উদ্যোগ নেই বলে জানান জাতীয় কৃষক সমিতির নেতা মো. আসলাম খাঁন।

তিনি বলেন, নবাবগঞ্জের অধিকাংশ খাল ও জলাশয়ে অবৈধ স্থাপনা ও বাড়িঘর নির্মাণ করে দখল করে ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া বিষাক্ত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে ইছমতি নদীতে। ফলে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। এ নদীর দূষিত পানিতে বাসিন্দারা পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, নদ-নদী ও খাল যে সব প্রতিষ্ঠান দখল ও দূষণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান শুরু হবে।

তিনি আরো বলেন, নদী পুনরুদ্ধারে বর্তমান সরকারের নদী কমিশন কাজ করছে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। তবেই নদী ও খাল রক্ষা পাবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত