ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ভারত থেকে সাইকেল চালিয়ে এলো ৫ যুবক

  বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:১৩  
আপডেট :
 ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৩৬

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ভারত থেকে সাইকেল চালিয়ে এলো ৫ যুবক

‌বাংলাদেশের ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে ভারতের কলকাতা থেকে সাইকেল চালিয়ে ও দৌড়ে বাংলাদেশে এসেছেন পাঁচ যুবক।

কলকাতা ‘টাস অফ হ্যাভেন’ নামের একটি ক্লাবের সহযোগিতায় ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কলকাতা পৌরসভার মুখ্য উপ মহানাগরিক শ্রী অতীন ঘোষের হাত থেকে ভারতীয় জাতীয় পতাকা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুরে বেনাপোল চেকপোস্টে এসে পৌঁছান।

পাসপোর্টের কার্যাদি সম্পন্ন করে বেলা ২টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তারা। বাংলাদেশে আসা যুবকরা হলো- দলনেতা যশঙ্ক মিদ্যা, সদস্য রাহুল সেন, সৈকত মন্ডল, রৌণক দত্ত ও নিমাই মন্ডল। এদের মধ্যে চার জন সাইকেলে ও নিমাই মন্ডল দৌড়ে ঢাকা যাবেন।

দলনেতা যশঙ্ক মিদ্যা বলেন, ‘মোদের গর্ব মোদের আশা আমরি বাংলা ভাষা’। যে ভাষায় আমরা আত্মিক শান্তি পাই সেই ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। মাতৃভাষা শুধুমাত্র প্রকাশের মাধ্যম নয়। মাতৃভাষা এক শান্তির অনুভূতি, নিজের স্বাধীন অস্তিত্ব বজায় রাখার একটি উপায়। মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধের সমান। একই আকাশ একই বাতাস, দু‘বাংলার মানুষের ভাষা এক। আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি বলে দুই দেশের (বাংলাদেশ) মানুষের জন্য আমাদের প্রাণ কাঁদে। তাই তো ছুটে এসেছি বাঙালী বাংলাভাষী মানুষের পাশে। আপনারা ভাষার জন্য জীবন, স্বাধীনতার জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। ভাষা আর স্বাধীনতার জন্য এত ত্যাগের নজির পৃথিবীতে অন্য কারোর নেই। এ জন্য আপনারা গর্বিত জাতি।

তিনি জানান, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে পুস্পস্তবক প্রদান ও ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এর হাতে ভারতীয় পতাকা ও ক্লাবের স্মৃতি হিসেবে মেমেন্টো তুলে দেয়া হবে। এর উদ্দেশ্য দুই বাংলার মানুষের মাধ্যমে মৈত্রী বন্ধন সুদৃঢ় করা।

অপর সদস্য নিমাই মন্ডল বলেন, সাইকেল ও দৌড়কে বেছে নেওয়া হয়েছে যাতে দুই বাংলার যত বেশি সংখ্যক মানুষের সংস্পর্শে আসা যায়। দুই বাংলার আচার-ব্যবহার, শিক্ষা-সংস্কৃতি, রীতিনীতি ও চিন্তাভাবনার আদান-প্রদান ঘটানো যায়। ঢাকার আনুষ্ঠানিকতা শেষে আবার কলকাতায় সাইকেল ও দৌড়ের মাধ্যমে ফিরে যাবেন বলে জানান তারা।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত