অচল ঢাকা, ভোগান্তি চরমে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০১৯, ১৫:৩১ আপডেট : ২০ মার্চ ২০১৯, ১৫:৪৯
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সু-প্রভাত বাসের চাপায় বিইউপির ছাত্র আবরার আহম্মেদ চৌধুরীর নিহতের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নগরীর মানুষ।
বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সামনের সড়কগুলো বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের অবরোধের মুখে পড়তে হয়েছে গণপরিবহন ও সাধারণ মানুষকে। সড়কে সীমিত সংখ্যক বাস চলাচল করলেও বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাপক যাত্রী উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বাস এলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে লোকজন। কেউ কেউ উঠতে পারছেন, অনেকেই ব্যর্থ হচ্ছেন।
অনেকেই দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় বসে থেকে গাড়ি না পেয়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দেন, বাইক থেকে নেমে পার্কিংয়ে বাইক রেখে হেঁটে অফিসে ঢোকার মতো ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
বিশেষ করে ভোর থেকে মিরপুর-১, ১০ ও ১১, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, পল্লবী ও কালশী সড়কে লাইসেন্সধারী গণপরিবহন দুয়েকটি চলছে। মগবাজার, মৌচাক, শান্তিনগর ও মালিবাগের সড়কগুলোতে গণপরিবহন কম দেখা গেছে। মহাখালী, গুলশান, বনানী, তেজগাঁও, নাবিস্কো, রামপুরা ও বাড্ডা এলাকার বিভিন্ন সড়কেও গণপরিবহন কম দেখা গেছে।
বাস না পেয়ে অনেকে রিকশা, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে করে ভেঙে ভেঙে অফিসে যাচ্ছেন। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এসব যানবাহন কম থাকায় বেশি ভাড়া দাবি করা হচ্ছে। তারপরও অফিস ও গন্তব্যে পৌঁছতে রাজি হচ্ছেন নগরবাসী।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা গেট এলাকায় ‘সুপ্রভাত’ নামে একটি বাসের চাপায় বিইউপির শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহত হন। তিনি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফের বড় ছেলে। এ ঘটনার পর ঘাতক বাস সুপ্রভাত পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল, ঘাতক চালকের ফাঁসির দাবিসহ ১২ দফা দাবিতে নানা স্লোগান দিয়ে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বেন না বলেও জানান তারা। মঙ্গলবার রাতেই এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে।
আরএ