ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

জেলা প্রশাসনের ইফতারে দাওয়াত পাননি মেয়র আরিফ!

  সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ মে ২০১৯, ০৫:৫০

জেলা প্রশাসনের ইফতারে দাওয়াত পাননি মেয়র আরিফ!

সিলেট জেলা প্রশাসন আয়োজিত ইফতার মাহফিলে দাওয়াত পাননি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সিলেটে সিভিল প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এমন বড় পরিসরে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে নগর পিতা আরিফকে আমন্ত্রণ না জানানোয় দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সেই সাথে মেয়রের কণ্ঠে ঝরে পড়লো আক্ষেপ।

নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হচ্ছেন সিলেট নগরবাসীর অভিভাবক। তিনি নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি। তাকে জেলা প্রশাসনের ইফতার মাহফিলে দাওয়াত না দিয়ে নগরবাসীকে অপমান করা হয়েছে। এরকম কাজ কোনভাবেই কাম্য নয়। কারণ তিনি দলমত নির্বিশেষে সিলেটের সকল নাগরিকের অভিভাবক।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী শুধু আমাদের মেয়র নয় তিনি আমাদের অভিভাবক। তাকে দাওয়াত না দিয়ে অপমান করা মানে আমাদের সবাইকে অপমান করা। প্রশাসনের বুঝা উচিত, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়র বহু উপরে অবস্থান করেন। সরকার যদি মেয়রদেরকে প্রতিমন্ত্রীর যে মর্যাদা দিয়েছিল। তা বহাল রাখতে, তাহলে তিনি প্রতিমন্ত্রীর সমমর্যাদার পেতেন। এছাড়া তিনি দলীয় বিবেচনায় কোন কাজ করছেন বলে আমাদের মনে হয় না। সেজন্য ভবিষ্যতে যাতে এর পুনরাবৃত্তি না হয়।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বরাত দিয়ে সিসিকের গণসংযোগ কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন শিহাব বলেন, মেয়র হচ্ছেন সিলেট নগরীর পাঁচ লাখ মানুষের প্রতিনিধি। তাকে দাওয়াত না দেয়া মানে পাঁচ লাখ মানুষকে অবমূল্যায়ন করা বা অসম্মান করা।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সন্দীপ কুমার সিংহ বলেন, ইফতার মাহফিলে কাদের দাওয়াত দেয়া দেয়া হয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি ঢাকা ছিলাম। আপনি জেলা প্রশাসনের আরডিসির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের (আর ডিসি) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, দাওয়াতের বিষয়টি আমার দায়িত্বে ছিল না। আপনারা এনডিসি বা এডিএম শাখায় যোগাযোগ করে দেখেন।

পরে সিলেট জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ নাসির উল্লাহ খান ও সিলেট জেলা প্রশাসকের এনডিসি মুহাম্মদ এরশাদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলেও এটা তাদের দায়িত্ব নয় বলে জানিয়েছেন। এটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাখার দায়িত্ব।

এ বিষয়টি জানতে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

শুক্রবার (১৭ মে) সিলেট সার্কিট হাউজে আয়োজিত জেলা প্রশাসনের ওই ইফতার মাহফিলে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন, বিভাগীয় কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানসহ সিলেটের সব সরকারি অফিস-আদালত ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সুশীল সমাজের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত