‘ভুল’ ইনজেকশনে মৃত্যুর মুখে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ মে ২০১৯, ১৯:১৭
গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ‘ভুল’ ইনজেকশন পুশ করায় মৃত্যুর মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। তার নাম মরিয়ম সুলতানা মুন্নি। সে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। মুন্নি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের মো: মোশারফ হোসেন বিশ্বাসের মেয়ে।
অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালের নার্স রাশিদার দেয়া ভুল ইনজেকশনের কারণে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন মরিয়ম সুলতানা মুন্নি। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর পরপরই হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যান নার্স রাশিদা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো: মোশারফ হোসেন বিশ্বাস জানান, পিত্ত থলির পাথরজনিত কারণে গত তিন মাস ধরে আমার মেয়ে মরিয়ম সুলতানা মুন্নিকে ডাক্তার তপন কুমার মন্ডলের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছিলো। বিভিন্ন সময় তিনি আমার মেয়েকে ঠিকভাবে চিকিৎসা দিচ্চিলেন না। পরে গত ৯দিন আগে অপারেশন করার সময় দিলেও শেষ মূহূর্তে পরীক্ষা করতে ঢাকায় পাঠায়। আমরা পরীক্ষা করেও নিয়ে আছি।
তিনি আরো বলেন, কোনো চিকিৎসা না পেয়ে আমার মেয়েকে গত সোমবার (২০ মে) গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে চিকিৎসা দেন সেই তপন কুমার মন্ডলই। সবশেষ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় অপারেশন করা দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতারে নার্স রাশিদা আমার মেয়েকে ইনজেকশন দিতে যান। কিন্তু তাকে মানা করলেও আমাদের গাল মন্দ করে ভুল করে এনেসথেশিয়া ইনজেকশন দিয়ে দেয়। এসময় আমার মেয়ে জ্ঞান হরিয়ে ফেলে।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতালে পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠাতে বলেন চিকিৎসকরা।
বর্তমানে মুন্নীকে খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাকে ঢাকা নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় নার্স হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে গেলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে গোপালগঞ্জ-২৫০শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম বলেন, কি করে একজন সিনিয়র নার্স ভুল ইনজেকশন পুশ করলেন এটা আমার বোধগম্য নয়। এবিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত শেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডিপি/
