অপরিপক্ক ৪০০ মণ আম ধ্বংস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ মে ২০১৯, ২০:২৫
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ফলের আড়তে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ কার্বাইড দিয়ে পাকানো ৪০০ মণ আম ধ্বংস করেছে র্যাব।
বুধবার সকালে যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানের সঙ্গে ছিলেন বিএসটিআই ও কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় বিপুল পরিমাণ ল্যাংড়া ও হিমসাগর আম জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, ল্যাংড়া আম জুন মাসে এবং হিমসাগর আম চলতি মাসের শেষে বাগান থেকে পাড়ার কথা। জব্দকৃত আম সিটি করপোরেশনের গাড়ি দিয়ে ধ্বংস করা হয়। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে আর্থিক জরিমানাও করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এই অভিযানে র্যাবের নির্বাহী হাকিম সারওয়ার আলম আড়তের নয় প্রতিষ্ঠানকে ২৪ লাখ টাকা জরিমানাও করেছেন।
সারওয়ার আলম বলেন, আমগুলো মে মাসের শেষ দিকে বাজারে আসার কথা। কিন্তু তারা নির্ধরিত সময়ের আগে ভিন্ন পক্রিয়ায় পাকিয়ে বাজারে এনেছে, যা অপরাধ এবং স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
আড়তের ৯টি দোকান থেকে এমন ৪০০ আম নিয়ে গাড়ির চাকার নিচে ফেলে নষ্ট করে দেওয়া হয়।
রাজশাহীর বাগানে যে সব আম পাড়ার সময় এখনও হয়নি, সেসব আম যাত্রাবাড়ীর ৯টি আড়তে পাওয়ায় সেগুলোই ধ্বংস করা হয় বলে র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
অভিযানের সময় মা এন্টার প্রাইজ, সাদ্দাম এন্টার প্রাইজ ও নাঙ্গলকোট এন্টারপ্রাইজকে ৪ লাখ টাকা করে, নান্নু এন্টারপ্রাইজ ও সজীব এন্টারপ্রাইজকে ৩ লাখ টাকা করে, বন্ধু বাণিজ্যালয় ও মাদারীপুর বাণিজ্যালয়কে ২ লাখ টাকা করে, চন্দ্রপুরী সবজি ভান্ডার ও সাবিহা বানিজ্যালয়কে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের বাজারে আম রাজশাহী অঞ্চল থেকে বেশি আসে। এবার রাজশাহীর প্রশাসন বাগান থেকে বিভিন্ন ধরনের আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
সে অনুযায়ী, ২২ মে পর্যন্ত শুধু গুটি ও গোপালভোগ আমই পাড়া যাবে। এরপর ২৫ মে লক্ষণভোগ ও লখনা, ২৮ মে হিমসাগর ও খিরসাপাত আম পাড়া হবে।
৬ জুনের পর বাজারে আসবে ল্যাংড়া ও বোম্বাই। ফজলি, সুরমা ফজলি ও আম্রপালি আসবে ১৬ জুন নাগাদ।
এই সময়ের আগে কোনো ধরনের আম গাছে পেকে গেলে তা রাজশাহী জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে তা পাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আমচাষিদের।
বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই