ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনে সর্বোত্তম স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনে সর্বোত্তম স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই সর্বোত্তম স্থান। এর কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, এখানেই জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়। বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পিছনের সবচেয়ে প্রেরণাদায়ী ৭মার্চের ভাষণটিও তিনি এই উদ্যানেই প্রদান করেছিলেন।

বুধবার বিকাল তিনটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুজিব বর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের স্থান নির্ধারণের উদ্দেশে অনুষ্ঠিত সভায় ও উদ্যান পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাসের প্রধান ঘটনা ১৬ ডিসেম্বরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানটিও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। দীর্ঘকাল পাকিস্তানের কারাগারে আটক থাকার পর এই উদ্যানেই স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতা এক আবেগমথিত স্বদেশ ১০ জানুয়ারি প্রত্যাবর্তন দিবসে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেছিলেন। এই উদ্যানেই ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী প্রিয়দর্শিনী ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় বাহিনী প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাঙালি, বাংলাদেশ ও জাতির পিতা সকলের কাছেই এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই সবচেয়ে ইতিহাস ঘনিষ্ঠ।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের স্থান নির্ধারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নাম প্রস্তাব করা হবে। বিকল্প হিসেবে মহান জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা এবং আবহাওয়া বৈরী হলে তৃতীয় বিকল্প হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বা অন্য কোন উপযুক্ত স্থানের নাম প্রস্তাব করা হবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ এমপি, বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে গঠিত বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম আরিফুর রহমান, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লাহ খন্দকারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত