ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪১ মিনিট আগে
শিরোনাম

অনিয়মের অভিযোগে ডিসিকে শোকজ

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০১৯, ১৭:২০

অনিয়মের অভিযোগ, কুষ্টিয়ার ডিসিকে শোকজ

ইকো পার্কের উন্নয়নে পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আসলাম হোসেনের বিরুদ্ধে। আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করছে বিভাগীয় কমিশনার অফিস।

পর্যটন মন্ত্রণালয় আর্থিক অনিয়ম, অদক্ষতা ও কাজে অবহেলার বিষয়টি আমলে নিয়ে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেনকে শোকজ করেছে। সেখানে কড়া ভাষায় আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে জেলা প্রশাসক শোকজের জবাবও দিয়েছেন।

খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার (উন্নয়ন) গত ৯ জুলাই কুষ্টিয়া এসে সরেজমিনে পার্কের কাজসহ বিষয়টি তদন্ত করে গেছেন।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন জানান, কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। প্রথমে ৯০ লাখ টাকা কয়েকটি ইকো পার্কের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে এই অর্থ কুঠিবাড়ির উন্নয়নে ব্যয়ের অনুরোধ করেন। পরে মন্ত্রণালয় থেকে শুধুমাত্র কুঠিবাড়ির উন্নয়নের নির্দেশ দেয়া হয়। অখ্যাত কয়েকটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার বিষয়ে মন্ত্রণালয় আপত্তি জানায়। পরে সেটি বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়নি এখনও। তবে অনেক আগের রেট থাকায় ঠিকাদাররা লোকসানের ভয়ে দরপত্র ফেলছেন না। মাত্র দুইজন ঠিকাদার দরপত্রে অংশ নিয়েছেন।

জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, পর্যটনের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে বিগত জেলা প্রশাসক জহির রায়হান একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক মন্ত্রণালয় থেকে ৯০ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ দিয়ে তিনটি ইকো পার্কের উন্নয়নের জন্য প্রথমে একটি চিঠি পাঠানো হয়। এরপর বদলি হয়ে যান জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান। তার স্থলে জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দেন মো. আসলাম হোসেন। তিনি ইকো পার্কের উন্নয়নের জন্য একটি রূপরেখা তৈরি করে টেন্ডার আহবানসহ কাজ শুরু করার উদ্যোগ নেন। এর মধ্যে কিছু টাকা খরচও করা হয়। তবে এ অর্থ শুধু কুঠিবাড়ির উন্নয়নে খরচ করার জন্য বলা হলেও অন্য ইকো পার্কে খরচ করা হয়। কুঠিবাড়ি ছাড়া যেসব ইকো পার্কে অর্থ খরচ করা হয়েছে সেখানে কোনো লোক সমাগম হবে না জানিয়ে এ অর্থ অপচয় হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এদিকে কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের গড়াই নদীর ধারে বালুর চরে একটি ইকো পার্কের উন্নয়নের কাজ চলছে। সেখানে সড়ক নির্মাণ, বেঞ্চ ও ছাতা নির্মাণের জন্য ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ছাড় করা হয়েছে। কাজ শেষে ঠিকাদার চূড়ান্ত বিল নেয়ার চেষ্টা করছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত