ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘দেশে বিদ্যুৎচালিত ট্রেন চালু করা হবে’

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০১৯, ১৬:১৬  
আপডেট :
 ১৭ জুলাই ২০১৯, ১৬:১৯

‘দেশে বিদ্যুৎচালিত ট্রেন চালু করা হবে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে রেলপথ উন্নত করা হয়েছে। আগামীতে যাতায়াত ব্যবস্থায় আরও গতিশীলতা আনতে বিদ্যুৎচালিত ট্রেন চালু করা হবে।

বুধবার গণভবনে বেনাপোল এক্সপ্রেসের উদ্বোধন ও বনলতা এক্সপ্রেসের রুট বাড়ানোর ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আশা প্রকাশ করেন। এদিন ভিডিও কনফারেন্সে ট্রেন দুটোর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম। এখন আমাদের বিদ্যুৎ ১৬০০০ হাজার মেগাওয়াট। আগামীতে আমাদের দেশে বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এর মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়বে, পণ্য পরিবহনের সুযোগ তৈরি হবে। আমরা অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি হবে। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে।

বেনাপোল এক্সপ্রেসের উদ্বোধন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা-বেনাপোল রুট অনেক লম্বা। ঢাকা, টঙ্গি, টাঙ্গাইল, বঙ্গবন্ধু সেতু, সিরাজগঞ্জ, ঈশ্বরদী, পাবনা, ভেড়ামারা, পোড়াদহ, দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ হয়ে যশোর যেতে হয়। ট্রেনে যেতে হয় ৩৭০ কিলোমিটার। আমরা পদ্মা ব্রিজ করছি। পদ্মা ব্রিজে রেলসেতু দিচ্ছি। পদ্মাসেতুর মাধ্যমে ফরিদপুরের ভাঙ্গাকে ফরিদপুর হয়ে যশোরের সঙ্গে লিঙ্ক করে দেব। এতে যাত্রাপথের দূরত্ব কমে যাবে, সময়ও কমে যাবে।

তিনি বলেন, রাজশাহীবাসীর অনেকদিন দাবি ছিল, ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে দেওয়া। আমরা সেটি করে দিচ্ছি। এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক আমাদের রেল লাইনকে নতুন জীবন দানে সহায়তা করেছে। পুরনো ব্রিজগুলো নতুন করা দরকার। পাশাপাশি উপযুক্ত লোকবল আমাদের তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

এদিকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য নতুন আমদানি করা কোচসমূহের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- বায়ো-টয়লেট সংযোজন। ট্রেনটিতে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের হুইল চেয়ারসহ চলাচলের সুবিধার্থে থাকছে প্রশস্ত দরজা (মেইন ও টয়লেট দরজা) এবং নির্ধারিত আসনের সুবিধা। প্রতিটি কোচ স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি এবং অত্যাধুনিক যাত্রী সুবিধা সম্বলিত। প্রতিটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে আধুনিক ও উন্নতমানের রুফ মাউন্টেড এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট এবং এয়ার কার্টেইনের ব্যবস্থা রয়েছে।

যাত্রী সাধারণের জন্য আধুনিক ও মানসম্মত চেয়ার, বার্থ, স্টেয়ার, পার্সেল রেক, টিভি মনিটর হ্যাঙ্গার, ওয়াই-ফাই রাউটার হ্যাঙ্গার, মোবাইল চার্জারের ব্যবস্থা রয়েছে। ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ১২টি কোচ দ্বারা চলবে। ট্রেনটিতে এসি সিট, এসি চেয়ার ও শোভন চেয়ার শ্রেণির সর্বমোট ৮৯৬টি (৭৯৫ নং ট্রেনের ক্ষেত্রে) এবং এসি বার্থ, এসি চেয়ার ও শোভন চেয়ার শ্রেণির সর্বমোট ৮৭১টি (৭৯৬ নং ট্রেনের ক্ষেত্রে) আসনের ব্যবস্থা থাকবে।

বেনাপোল ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন (৭৯৫) বুধবার ও (৭৯৬) বৃহস্পতিবার। ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ছাড়বে দুপুর ১টায়, ঢাকা পৌঁছাবে রাত ৯টায় এবং ঢাকা থেকে ছাড়বে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে, বেনাপোল পৌঁছাবে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত