বৌদিকে ধর্ষণের দায়ে দেবরের যাবজ্জীবন
পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০১৯, ১৬:১৩
পিরোজপুরের মঠববাড়িয়ায় বিধবা বৌদিকে (ভাইয়ের স্ত্রী) ধর্ষণের দায়ে দেবর বাবুল হাওলাদার ওরফে কালাকে (২৮) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মিজানুর রহমান এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বাবুল হাওলাদার উপজেলার কবুতরখালী গ্রামের মৃত প্রমাংশু হালদারের ছেলে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাবুল হাওলাদার পলাতক।
মামলার বিবারণে জানা যায়, উপজেলার কবুতরখালী গ্রামের মৃত লক্ষণ হাওলাদারের স্ত্রী সাগরিকা রাণী ৬ বছরের শিশু সন্তান নিয়ে শ্বশুরের ঘরের বারান্দায় বসবাস করে আসছিলেন। তার ছোট দেবর বাবুল হালদার প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। এতে রাজি না হওয়ায় ২০১০ সালের ১৭ আগস্ট রাত ১২টার দিকে সাগরিকার মুখে গামছা ঢুকিয়ে তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় বাবুল।
বিষয়টি মেঝ দেবর রামচন্দ্র ও শাশুড়িকে জানালে তারা বাবুলকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পান। পরে তারা বিধবা সাগরিকাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত দেন। বিয়েতে রাজি হয়ে ধর্ষক বাবুল বিয়ের নামে প্রতারণা করে তার বৌদিকে কালী মন্দিরে নিয়ে মালা বদল করে ২০১১ সালের ৮ মার্চ পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একই বাড়িতে বসবাস করে। এতে সাগরিকা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। কিন্তু ধর্ষক বাবুল পরে অন্যত্র বিয়ে করে সাগরিকাকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করে। পরে নির্যাতিতা সাগরিকা ২০১১ সালের ২৩ মার্চ মঠবাড়িয়া থানায় ধর্ষণের মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিশেষ পিপি আব্দুল রাজ্জাক খান বাদশা। তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে