সন্তানের বাবা ভিপি নুর, মুখ খুললেন স্ত্রী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর সন্তানের বাবা হয়েছেন। এটি খুশির খবর হলেও বিষয়টি নিয়ে লুকোচুরি খেলছেন নুর ও তার স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যরা।

বুধবার রাতে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু মুন্সি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছেন ভিপি নুর।

বান্দরবানে অস্ত্রসহ যুবক আটক

তিনি বলেন, ভিপি নুর কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। গত মার্চ মাসে বাবা হয়েছেন নুর। তবে বিষয়টি কাউকে জানায়নি নুর এবং নুরের পরিবার।

ভিপি নুরের প্রতিবেশী ও স্ত্রী মরিয়ম আক্তার লুনার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছেন ভিপি নুর। বিষয়টি গ্রামবাসী জানলেও নুর ও লুনার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি লুকিয়ে রাখতে চাইছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডাকসু ভিপি নির্বাচিত হওয়ার সময় নুরের স্ত্রী লুনা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত ২১ মার্চ রাজধানীর ধানমন্ডির গ্রীন লাইফ হাসপাতালে এক কন্যা সন্তান জন্ম দেন লুনা। কয়েকদিন আগে নুর ও তার স্ত্রী-সন্তানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায় ভিপি নুরের পাশে শিশু কোলে নিয়ে এক নারী দাঁড়িয়ে আছেন। ওই নারী ভিপি নুরের স্ত্রী এবং স্ত্রীর কোলে থাকা শিশুটি নুরের সন্তান বলে প্রচার পায়। এরই মধ্যে নুরের প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে স্ত্রী-সন্তানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

সন্তানের কথা জানতে চাইলে ভিপি নুরের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার লুনা বলেন, কেমন উল্টাপাল্টা তথ্য জানতে চাইছেন বলেন তো? কালকে দেখলাম একটি সংবাদমাধ্যমে আমাদের সন্তান নিয়ে উল্টাপাল্টা সংবাদ করে রেখেছে। আজ আবার আপনি জানতে চাইছেন সন্তানের কথা। আজব বিষয়। এর আগেও আমাদের বিয়ে নিয়ে আজেবাজে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। অথচ পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়েছে।

মরিয়ম আক্তার লুনা আরো বলেন, একজন মানুষ সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে কিছু লেখা ঠিক না। অনেকেই মনে যা আসে লিখে দেয়। এসব ঠিক না। আমাদের সন্তান হয়েছে কি হয়নি তা ব্যক্তিগত বিষয়। বিষয়টি জানাতে আমি আগ্রহী না। এ বিষয় নিয়ে আমি সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে চাই না।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে চর বিশ্বাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাতেম আলীর মেয়ে মরিয়ম আক্তার লুনাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন নুর। নুরের স্ত্রী লুনা গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি হলে পটুয়াখালীতে চলে যান লুনা। বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ