ঢাকা, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

যারা নিয়মিত খালেদ-শামীমের টাকার ভাগ পেতেন

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৩:৩০

খালেদ-শামীমের টাকার ভাগ পেতো ৫০ জন

যুবলীগের সমবায় বিষয়ক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীম এবং বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার অবৈধ টাকার নিয়মিত ভাগ পেতেন কমপক্ষে ৫০ জন।

এই তালিকায় রয়েছে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, পুলিশ ও প্রকৌশলীর নাম। তাদেরকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। অর্থপাচারের ৯টি মামলার তদন্তে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হন খালেদ ও জি কে শামীম। র‍্যাব উদ্ধার করে প্রায় দুইশো কোটি টাকা ও মাদকদ্রব্য। এরপর গেন্ডারিয়া থেকেও অবৈধ টাকা উদ্ধার করে র‍্যাব।

প্রশাসনের সহায়তা ছাড়া ক্যাসিনো ব্যবসা চলছে না, শুরু হয় এমন সমালোচনা। এরপর মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক, গোয়েন্দা পূর্ব বিভাগের এডিসি জুয়েল রানা ও মতিঝিল বিভাগের এডিসি শিবলী নোমানকে বদলি করা হয়।

এখানেই থেমে থাকেনি তদন্ত। এত বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস খুঁজতে গিয়ে পাচারের প্রমাণ পাওয়া যায়। ৯ মামলায় আটক হয়েছেন ১৫ থেকে ২০ জন, বিদেশে পালিয়ে গেছেন ৫ থেকে ৬ জন।

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, নজরদারিতে আছেন ১৪-১৫ জন নেতা, ৪-৫ জন ব্যবসায়ী ও প্রকৌশলী ১১ জন। এদের মধ্যে ৪ জন তত্ত্বাবধায়ক, ৫ জন নির্বাহী, ১ জন উপ-বিভাগীয় ও ১ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী। তালিকায় আছেন সাবেক দুইজন প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও টিপু মুন্সি এবং রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানালেন, যাদেরকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে তাদের দেশের ভেতরে ও বাইরের ব্যাংক হিসাবে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

সিআইডি বলছে, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার চেষ্টাও করা হচ্ছে।

অর্থপাচারের প্রমাণ পেলেও তার পরিমাণ কত, সেটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া কোন কোন দেশে পাচার হয়েছে সেটাও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত