ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

কথিত স্ত্রীকে তুলে আনতে গিয়ে যুবক খুন

  নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:৫৬

কথিত স্ত্রীকে তুলে আনতে গিয়ে যুবক খুন

নরসিংদীর রায়পুরার আমিরগঞ্জ এলাকায় কথিত স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তুলে আনতে গিয়ে শফিকুল ইসলাম (২৫) নামে এক মোবাইল ব্যবসায়ী ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়য়নের মোল্লা বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শফিকুল ইসলাম (২৫) শিবপুর উপজেলার কুন্দারপাড়া গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে। তিনি নরসিংদী ইনডেক্স প্লাজায় মোবাইল সাভিসিংয়ের ব্যবসা করতেন।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কথিত স্ত্রী রহিমাকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, নিহত শফিকুল ইসলামের সাথে শহীদ আসদ কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী হেলেনার কাবিন হয়। এর জের ধরে গত সপ্তাহে স্ত্রী রহিমা আক্তারকে উঠিয়ে নিতে আসেন শফিকুল। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে বনিবনা না হওয়ায় তারা মেয়েকে উঠিয়ে দিতে রাজি হয়নি। এর জের ধরে বুধবার দুপুরে নিহত শফিকুল ইসলাম পুনরায় লোকজন নিয়ে তার কথিত স্ত্রীকে উঠিয়ে আনতে যায়। ওই সময় মেয়ের বাড়ির লোকজন মেয়েকে দিতে রাজি হয়নি।

এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মেয়েকে জোর করে উঠিয়ে আনার চেষ্টা করে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে কথিত স্ত্রীর লোকজন শফিকুলকে ধরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।

তবে নিহত শফিকুল ইসলামের কথিত স্ত্রী রহিমা আক্তারকে দাবি করেন, শফিকুল ইসলাম কলেজ থেকে টিসি তুলে দেয়ার কথা বলে একটি কাগজে সই নেয়। পরে তা এফিডেভিড করে বিয়ে সম্পাদন করে। এরপর থেকে সে নিয়মিত তাকে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিলেন। তার কাছে ৫ লাখ টাকাও দাবি করেন। সবশেষ বুধবার দুপুরে সে লোকজন নিয়ে আমাকে উঠিয়ে নিতে আসে। এরমধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়ে যায়। তবে কিভাবে মারা গেছে তা তিনি জানেন না বলে দাবি করে।

নিহত শফিকুল ইসলামের বাবা খোরশেদ মিয়া বলেন, মেয়েটি আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ষড়যন্ত্র করে তাকে খুন করে।

আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান মিল্লাত হোসেন মৃধা বলেন, ককটেলের শব্দ শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি রাস্তার পাশে একটি লাশ পড়ে আছে। খবর পাই মেয়ের বাড়িতে তাদের পক্ষের লোকজনের সাথে নিহতের লোকজনের সংঘর্ষ হয়। মেয়েটিকে জোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। এরই জেরে তাধের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।

নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, মেয়েটির সাথে নিহতের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। কিন্তু মেয়েটি বিবাহিত। তবে হত্যার ঘটনাটি এখনো স্পষ্ট নয়। তদন্ত করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত