ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

নুসরাত হত্যা: অপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজা চায় পরিবার

  ফেনী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ১০:২১

নুসরাত হত্যা: অপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজা চায় পরিবার

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার রায়ের অপেক্ষায় তার পরিবার। চার মাসের বিচারিক কার্যক্রম শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর আদালত রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দিন ধার্য করেন। হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস ১৭ দিনের মাথায় আদালতের ৬১ কর্মদিবসে রায়টি ঘোষণা করা হবে।

নুসরাতের পরিবার চায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও মামলার প্রধান আসামি সিরাজ উদ দৌলাসহ অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড। রাষ্ট্রপক্ষের আশা, ১৬ আসামিকে সর্বোচ্চ সাজা দেবেন আদালত।

আইনজীবীরা বলছেন, এত দ্রুত সময়ে কোনো রায় নিষ্পত্তি হওয়ার নজির বাংলাদেশে নেই।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেয়েছেন বলেই এত দ্রুত সময়ের মধ্যে রায় দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আপুকে ফিরে পাবো না। তবে দৃষ্টান্তমূলক সাজা হলে কিছুটা সান্ত্বনা পাবো। আপুর আত্মা শান্তি পাবে।’

নোমান আরো বলেন, ‘অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়— এটা প্রমাণ হোক। রাষ্ট্র বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে দেশবাসীকে জানিয়ে দিক অপরাধ করে কেউ বাঁচতে পারবে না।’

নুসরাতে মা শিরিন আক্তার আশা করছেন রায় তাদের পক্ষে যাবে। তিনি বলেন, ‘অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌল্লাহসহ সব আসামির ফাঁসি চাই। এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ড যেন আর না হয়। আমার মতো আর কোনও মায়ের বুক যেন এভাবে খালি না হয়।’

নুসরাতের বাবা এ কে এম মুসা বলেন, ‘দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর আমাদের আস্থা আছে। আদালত নুসরাতের খুনের সঙ্গে জড়িতদের এমন শাস্তি দিক যাতে আমরা একটি সান্ত্বনা নিয়ে বাঁচতে পারি।’

নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান বলেন, আমরা আপুকে ফিরে পাবো না। তবে দৃষ্টান্তমূলক সাজা হলে কিছুটা শান্ত্বনা পাবো। আপুর আত্মা শান্তি পাবে।

নুসরাতের প্রতিবেশী রাহাত বলেন, দেশে বড় বড় হত্যাকাণ্ডসহ নানাবিধ অপরাধ ঘটলেও সেগুলোর বেশিরভাগের বিচারে বছরের পর বছর সময় লাগে। কিন্তু ব্যতিক্রম নুসরাত হত্যা মামলা। বাংলাদেশের সব অপরাধের মামলা এমন তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি হলে অপরাধ প্রবণতা অনেকটা কমে যাবে।

উল্লেখ্য, সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী নুসরাত গত ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে তাকে ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে তার মায়ের শ্লীলতাহানির মামলা তুলে না নেওয়ায় তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাত মারা যান। এ ঘটনায় নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে মামলা করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত