ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

জলবায়ুর প্রভাব

বন্যায় প্রতি বছর ঘর হারাবে ৫ কোটি মানুষ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:৪৬

বন্যায় প্রতি বছর ঘর হারাবে ৫ কোটি মানুষ
ফাইল ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিভিন্ন দেশের সরকার এখনই ব্যবস্থা না নিলে গত শতকের (১৯৭০ থেকে ২০০৫ সাল) বছরে বন্যার কারণে বিশ্বে যে পরিমাণ মানুষ ঘরহারা হয়েছে, সেটি পাঁচগুণ বেড়ে যাবে। এ শতকের শেষ নাগাদ গৃহহীনের পরিমাণ হবে বছরে পাঁচ কোটি।

মঙ্গলবার মাদ্রিদে জাতিসংঘ আয়োজিত জলবায়ু বিষয়ক এক আলোচনায় জেনেভাভিত্তিক ‘ইন্টারনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার’- আইডিএমসির গবেষক জাস্টিন জিনেত্তি বলেন, জনসংখ্যা সাথে সাথে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়া এবং দ্রুত বরফ গলতে থাকায় ঘন ঘন বড় ধরনের বন্যার কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

এই গবেষকের মতে, যে পরিমাণ মানুষের গৃহহীন হওয়ার শঙ্কার কথা বলা হচ্ছে, তার অর্ধেকই জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হবে। আর বাকি মানুষ ঘরহারা হবে জনসংখ্যার বাড়ার কারণে।

সংস্থাটির হিসেব মতে, গত শতকের বন্যার কারণে বছরে গৃহহীন হয়েছে এক কোটি মানুষ। এটি এ শতক না পেরুতেই বছরে বেড়ে যাবে প্রায় পাঁচগুন।

আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা অক্সফাম সোমবার জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং দাবানলের কারণে গত এক দশকে প্রতিবছর দুই কোটির বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে। জলবায়ু হুমকি মোকাবেলায় বিশ্বনেতারা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে সমস্যা আরও প্রকট আকার নেবে বলে জনিয়েছে সংস্থাটি।

বন্যার কারণে মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়া ঠেকাতে ভালো কিছু উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেছেন আইডিএমসির গবেষক জিনেত্তি।

এর মধ্যে রয়েছে নগরায়নের এমন পরিকল্পনা, যেখানে নদীসংলগ্ন বন্যাপ্রবণ এলাকায় বসতি স্থাপনকে নিরূৎসাহিত করা হবে এবং ঝুঁকিতে থাকা মানুষজনকে দ্রুত সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করতে আরও বিনিয়োগ করা।

এক্ষেত্রে দুর্যোগ মোকাবেলায় দক্ষিণ এয়ার দেশগুলো, বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ এবং চীনের উদাহরণ টেনেছেন জাস্টিন জিনেত্তি।

এসব দেশ ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সময় ঝুঁকির মুখে থাকা তাদের লাখ লাখ নাগরিককে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার যে সক্ষমতা অর্জন করেছে, সে ধরনের পদক্ষেপ আফ্রিকার দেশগুলোতেও নেয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত