ভুল চিকিৎসায় প্রসুতির মৃত্যু, হাসপাতাল ভাঙচুর

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ‘বসুরহাট মা ও শিশু হাসপাতালে’ ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নুর নাহার (২০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। নিহতের স্বামী ও স্বজনেরা এ অভিযোগ জানিয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শত শত নারী-পুরুষ ও মৃতের আত্মীয়-স্বজনেরা হাসপাতালে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করে। এ সময় তারা চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাসপাতালের ভেতর অবরুদ্ধ করে রাখে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড হাসপাতাল রোডে এ ঘটনা ঘটে।

তীব্র গরমে পাঁচ জেলায় ছয়জনের মৃত্যু

নিহতের স্বামী কামরুজ্জামান ও স্বজনদের অভিযোগ, উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের প্রসুতি নুর নাহারের বাড়িতে প্রসব বেদনা উঠলে বৃস্পতিবার সকাল ১১টায় তাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে পরিবার।

সেখানে কর্তব্যরত গাইনি চিকিৎসক রওশন জাহান লাকি রোগীকে পার্শ্ববর্তী বেসরকারী প্রাইভেট হাসপাতাল বসুরহাট মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন। ডাক্তারের কথা মতো সেখানে ভর্তি করার পর নুর নাহারকে প্রয়োজনীয় ঔষধ দেন চিকিৎসক রওশন। এ সময় কর্তব্যরত নার্সরা চিকিৎসকের নির্দেশনা মোতাবেক রোগীকে তা প্রয়োগ করেন। কিছু সময়ের মধ্যে প্রসুতি নুর নাহারের অবস্থার অবনতি হয়। এরপর দুপুর ১২টায় দিকে নরু নাহারের মৃত্যু হয়।

এদিকে প্রসুতির মৃত্যুর সংবাদ শুনে স্থানীয় নারী-পুরুষ ও নুর নাহারের আত্মীয় স্বজনেরা হাসপাতালে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও ভাঙচুর করেন।

পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত চিকিৎসক রওশন জাহান লাকী বলেন, ৮মাসের গর্ভবতী নুর নাহার হাসপাতালে ভর্তি হলে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেয়া হয়। কিন্তু প্রসুতির স্বজনরা ওই সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা কিছুই করেননি। প্রসুতির প্রচণ্ড ব্যাথা হলে নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসা যা করার তাই করে। সব কিছুই প্রসুতির চিকিৎসা ফাইলে লেখা রয়েছে। ভুল চিকিৎসার কোনো ঘটনা রোগীর ক্ষেত্রে ঘটেনি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে