ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

আজ গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস

  গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৫৮

আজ গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস

আজ ৭ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ পাক হানাদার মুক্ত হয়। তৎকালীন মহকুমার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামসুল মজিদের সহযোগিতায় ট্রেজারি থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে ঐদিনই তৎকালীন কায়দে আজম মেমোরিয়াল কলেজ (বর্তমান বঙ্গবন্ধু কলেজ) মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গোপালগঞ্জ মুক্তি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। দিনটি পালন উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে র‌্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় ২৭ মার্চ থেকেই। মুসলিম লীগ নেতাদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ৩০ এপ্রিল শহরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে শহরের ব্যাংক পাড়ায় বঙ্গবন্ধুর বাড়ি (বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়) পুড়িয়ে দেয়। এরপর পাকিস্তানি সৈন্যরা ১০/১২টি দলে বিভক্ত হয়ে শহরের হিন্দু অধ্যুষিত স্বর্ণপট্টি, সাহাপাড়া, সিকদারপাড়া, চৌরঙ্গী এবং বাজার রোডে লুটপাট করে আগুন দিয়ে প্রায় এক হাজার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে হত্যা আর নারী নির্যাতন শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদাররা উপজেলা পরিষদের মিনি ক্যান্টনমেন্টের মুক্তিকামী সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে হত্যা করে গণকবর দেয়।

৬ ডিসেম্বর সূর্য উঠার সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে বিভক্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করে। চারিদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমন বলয় রচিত ও মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত লগ্নে মিত্রদেশ ভারত প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের সরকার স্বীকৃতি দেয়ায় এখানকার পাক হানাদার বাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে পড়ে।

গভীর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ করবে এমন সংবাদ পেয়ে পাক সেনারা ৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানা উপজেলা পরিষদ (বর্তমানে) সংলগ্ন জয় বাংলা পুকুর পাড়ের মিনি ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে পালিযে যায়। মেজর সেলিমের অধীনে পাক হানাদার বাহিনীর একটি দল ঢাকায় যায়। অন্য একটি দল চলে যায় ভাটিয়াপাড়ার ওয়ারলেস্ ক্যাম্পে।

পাক সেনারা ৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানা উপজেলা পরিষদ (বর্তমানে) সংলগ্ন জয় বাংলা পুকুর পাড়ের মিনি ক্যান্টমেন্ট ছেড়ে পালিযে যায়। ৭ ডিসেম্বর ভোরে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলন করে মুক্তিযোদ্ধারা। আর সেই সাথে মুক্ত হয় গোপালগঞ্জ শহর ও এর আশপাশের এলাকা।

এ দিনটি উপলক্ষে গোপালগঞ্জে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচী। উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন জয় বাংলা পুকুর পাড়ের বদ্ধভূমিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। পরে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সামাজিক সংগঠন বিডি ক্লিনের উদ্যেগে একটি র‌্যালী বের করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত