ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে নতুন মাদক ব্যাবসা

  নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৩:০৪  
আপডেট :
 ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৩:২৮

ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে নতুন মাদক ব্যাবসা

মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি ও প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে নাটোরে কিছুটা কোণঠাসা ভাবে রয়েছে মাদক বিক্রেতারা। যার ফলে মাদকসেবীরা দ্বিগুন টাকা দিয়েও পাচ্ছে না কোন মাদক দ্রব্য। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নাটোর শহরের কতিপয় অসাধু ফার্মেসী মালিক এবং কিছু অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ী পেন্ট্রাডল, টাফেনটা, লোপেনট্রা, সেন্ট্রাডল ও ওমোরফোনসহ বিবিন্ন ব্যথানাশক ঔষধ বিক্রি করে যাচ্ছে।

আইন অনুযায়ী রেজিঃ চিকিৎসকের পরামর্শ বা অনুমতিপত্র ছাড়া কোন ওষুধ বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকলেও, এসব ঔষধ ব্যবসায়ীরা কোন নিয়মনীতি ও আইনের তোয়াক্কাই করছে না। আর এসব ওষুধ দিয়েই চলছে মাদকসেবীদের মাদক সেবনের কাজ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মাদকসেবী জানায়, তারা এসব ব্যথানাশক ওষুধ ৩০ টাকা থেকে ১০০ টাকা মূল্যে কিনে থাকেন। ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার করছে মাদকসেবীরা।

নাটোরের আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাসেল আহেমেদ জানান, বিভিন্ন ক্যান্সারের ব্যাথায় এসব ট্যাবলেট প্রতিষেধক হিসেবে ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।

নাটোর জেলা শাখার বিসিডিএস সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বেন্টু জানান, আমরা শহরের সকল ঔষধ ব্যবসায়ীদেরকে এসব ব্যথানাশক ওষুধ রেজিঃ প্রাপ্ত ডাক্তারের অনুমতি পত্র ছাড়া বিক্রয় করতে নিষেধ করেছি।

নাটোরেরে গোয়েন্দা পুলিশের ওসি (অফিসার ইনচার্জ) সৈকত হাসান বলেন, এসব অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ীদেরকে কঠোর নজরদারিতে রেখেছি এবং এদেরকে আইনের আওতায় আনতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে আমরা একাধিক ওষুধ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছি এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যেমে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত