ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

গায়ে কনুই লাগায় অন্ধ ছাত্রকে পেটালেন ছাত্রলীগকর্মী!

  চবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৩১

গায়ে কনুই লাগায় অন্ধ ছাত্রকে পেটালেন ছাত্রলীগকর্মী!

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার শুক্কুর আলম দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। রোববার রাত সাড়ে আটটায় ক্যাম্পাসের সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গায়ে কনুই লাগায় শুক্কুরকে ছাত্রলীগের কর্মী মোরশেদুল আলম মারধর করেন। এসময় সার্জারি করা চোখে কিল ঘুষি দেয়ায় তার বাম চোখ আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

শুক্কুর আলম জানান, রাতে সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ের এক দোকানে খাবার কিনতে যান তিনি। সেখানে আগে থেকে বসে ছিলেন ছাত্রলীগের কর্মী মোরশেদুল।

এ সময় তার কনুই মোরশেদুলের গায়ে লাগে। মোরশেদুল সোজা হয়ে দাঁড়াতে বলেন। কীভাবে সোজা হয়ে দাঁড়াবেন জানতে চাইলে মোরশেদুল তাকে মারধর করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।

তিনি আরও জানান, সাত আট মাস আগে তার বাম চোখে সার্জারি করা হয়। আমি দুচোখের একটিতেও দেখি না। তাই তার গায়ে কনুই লেগে যায়। মারধরের পর তার সহপাঠীরা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শুভাশীষ চৌধুরী বলেন, চোখে আঘাত পাওয়ায় ওই ছাত্রকে ব্যথানাশক ওষুধ দেয়া হয়েছে। ব্যথা না কমলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।

শুক্কুরের সহপাঠীদের দাবি, মোরশেদুল আলম নিয়মিত মাদক সেবন করেন। এর আগে তিনি এক রিকশা চালককেও মারধর করেছিলেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

তবে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোরশেদুল আলমের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে শুক্কুরকে মারধরের প্রতিবাদে রাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। রাত সাড়ে নয়টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোরশেদুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

বিক্ষোভ কর্মসূচির বিষয়ে প্রতিবন্ধী ছাত্রসমাজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ আবদুর রাজ্জাক বলেন, মোরশেদুল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। সোমবারের মধ্যে তাকে পুলিশ আটক না করলে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক বলেন, একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছাত্রকে মারধর করা অমানবিক কাজ। মারধরকারী ছাত্রলীগের কর্মী হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হানিফ মিয়া বলেন, কিল ঘুষিতে শুক্কুর বাম চোখে আঘাত পেয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত