ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

আপেল কুল চাষে সফল হাবিবুর

  ধামরাই প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:২৮  
আপডেট :
 ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:৪৮

আপেল কুল চাষে সফল হাবিবুর
ছবি: অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট হাবিবুর রহমান

ঢাকার ধামরাইয়ে কুল­ ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে হাবিবুর রহমান নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সার্জেন্ট একই জমিতে উন্নত জাতের আপেল কুল ও মিষ্টিকুমড়ার চাষ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি স্থানীয় কৃষি অফিসের সহযোগিতা ছাড়াই নিজের বুদ্ধি দিয়ে বল সুন্দরী ও কাশ্মীরি জাতের আপেল কুল উৎপাদনে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন।

প্রথম বছরেই মাত্র দুই লাখ টাকা খরচ করে তার পাঁচ বিঘা জমির আপেল কুলের দাম উঠেছে প্রায় ছয় লাখ টাকা।

সরে জমিনে জানা যায়, কান্দাপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান কয়েক বছর আগে সেনা সার্জেন্ট থেকে অবসরে আসেন। এরপর বেকার জীবন তার আর ভালো লাগেনি। পরে অল্প সময়ে কুল চাষে অধিক লাভ করার বিষয়টি ইউটিউব থেকে জানতে পারেন। পরে আট মাস পূর্বে ফরিদপুর থেকে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে এক হাজার ২০০ বিভিন্ন উন্নত জাতের আপেল কুলের চারা কেনেন। এরপর নিজের বাড়ির পাশেই পাঁচ বিঘা জমিতে আপেল কুলের বাগান করেন। এরপর থেকেই হাবিবুরের কুল চাষে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। বর্তমানে তিনি একজন সফল কুল চাষি।

তবে কুল চাষে তার কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। কুলের চারার মাঝখানে লাগিয়েছেন মিষ্টিকুমড়া। এসব কুল পাখির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পুরো জমিতেই নেট দিয়ে বেড়া দেয়া হয়েছে। একদিকে কুল চাষে হচ্ছে লাভবান অপরদিকে মিষ্টি কুমড়া চাষে সবজির চাহিদাও মিটছে।

জানা যায়, ২০২০ সালে প্রথম তিনি আপেল কুল চাষ শুরু করেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট হাবিবুর রহমান।

এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, পাঁচ বিঘা জমিতে আপেল কুল ও মিষ্টিকুমড়ার চাষ করতে তার প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বন্যার পানিতে অর্ধেক কুল গাছের চারা মারা যাওয়ার পরও সাত-আট মাসেই তার বাগানে বেশ ফলন হয়েছে। প্রতিটি গাছে ২০ থেকে ২৫ কেজি করে আপেল কুল ধরেছে। কুল দেখতে সুন্দর আবার খেতেও খুব মিষ্টি হয়েছে। এখন প্রতিদিনই ঢাকার কারওয়ান বাজার থেকে পাইকাররা কুল কেনার জন্য তার বাগানে আসছেন। দামও বেশ পাওয়া যাচ্ছে।

তবে এলাকার অনেকেই তাকে দেখে কুল চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। হাবিবুর রহমানের বাগানে পর্যাপ্ত পরিমাণে কুল গাছের চারা রয়েছে। যে কেউ তার কাছ থেকে সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারে। অপরদিকে, বেকারত্ব দুর করার জন্য যে কেউ কুল চাষ করতে পারে।

স্থানীয়রা বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট হাবিবুর রহমানকে দেখে এলাকার বেকার যুবকরা আর বেকার থাকবে না। লোকজন উৎসাহিত হবে। আরো অনেকেই কুল চাষে এগিয়ে আসবে।

এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল হাসান জানান, কান্দাপাড়া ছাড়াও ধামরাই উপজেলার কয়েকটি স্থানে উন্নত জাতের আপেল কুল ও সবজির চাষ হচ্ছে। তবে হাবিবুর রহমান প্রথম বছরেই একই জমিতে কুল ও মিষ্টিকুমড়ার চাষ করে বাজিমাত করে দিয়েছেন। আমরা তাকে সার্বিক সহযোগিতা করতে সব সময় প্রস্তুত। হাবিবুর রহমানকে দেখে আরো মানুষ এই কাজে উৎসাহিত হবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত