ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

ফের বিক্ষোভে উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয়

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:৩৭  
আপডেট :
 ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:৪৯

ফের বিক্ষোভে উত্তাল হাবিপ্রবি

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ( হাবিপ্রবি) ক্লাস পরীক্ষা চালুর দাবিতে ফের বিক্ষোভে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। রবিবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বিভিন্ন শ্লোগানে মুখর হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। অন্যদিকে আগে থেকে টের পাওয়ায় প্রশাসনিক ভবন থেকে সরে যায় শিক্ষকরা। যার ফলে সেখানে কোনো শিক্ষককে পাওয়া যায়নি।

সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আনিছুজ্জামান বিপ্লব বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘বর্ধিত বেতন ভাতা না পাওয়ার কারণে শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। যার ফলে গত দুই মাস ধরে আমাদের সব ধরণের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা সেশন জটে পড়ে গেছি।’

‘প্রতি সপ্তাহে আমাদের ২১টা ক্লাস নেওয়ার কথা। সেখানে হয় মাত্র ২টি। সেই ক্লাসগুলো নিচ্ছেন ডিন স্যার। গত নভেম্বর মাসের ১২ তারিখে সেমিস্টারের মিট র্টাম পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। এখন সেশন জটে পড়ে গেছি। কত কষ্ট করে বাবা মা টাকা পাঠায় পড়াশোনা শেষ করে ছেলে একটা ভালো চাকরি করবে। অথচ শিক্ষকরা তাদের নিজেদের স্বার্থে আমাদের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখেন না।’

সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের জেসমিন আক্তার তুলি বলেন, ‘ক্লাস পরীক্ষা না হওয়ার কারণে আমরা যে পিছিয়ে পড়ছি আমাদের শিক্ষকেরা সেটা দেখছে না। তারা আমাদের শিক্ষক আমাদের প্রতি তাদের দায়িত্ব রয়েছে সেটা তারা পালন করছে না। তারা তাদের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত আছে। শিক্ষকদের প্রতি ছাত্রছাত্রীদের যে সম্মান সেটা দিন দিন কমে যাচ্ছে। সরকার তাদেরকে যে কাজের জন্য নিয়োগ করছে তা তারা সঠিকভাবে পালন করছে না।’

গত দুই মাস ধরে বিজ্ঞান অনুষদ ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ করে ৫৭ জন সহকারী অধ্যাপকেরা বর্ধিত বেতন সুবিধার প্রাপ্যতার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। ৫৭ জন শিক্ষকের ওই দাবিকে যৌক্তিক দাবি বলে মনে করে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম সংগঠনের শিক্ষকেরা একাত্মতা ঘোষণা করে তারাও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ঘটনা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিষ্ট্রার সফিউল আলম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্যতা নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষকদেরকে ইনক্রিমেন্ট সুবিধা দেবার নিজস্ব কোন এখতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেই। খুব কম সময়ের মধ্যে সকল বিষয়ের নিষ্পত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে তার প্রশাসন কাজ করছে।’

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত