ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

উত্তরাধিকারসূত্রে অনেক জঞ্জাল পেয়েছি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৫৬

উত্তরাধিকারসূত্রে অনেক জঞ্জাল পেয়েছি

উত্তরাধিকারসূত্রে আমরা অনেক জঞ্জাল পেয়েছি। অনেক সমস্যায় জর্জরিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকা। পর্যায়ক্রমে সব বিষয়েই ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোনোটাই আমরা ছাড় দিচ্ছি না বলে জানিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার দুপুরে করপোরেশনের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাপ্তান বাজারের আধুনিক জবাইখানার চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

‘বেদখল মার্কেট দখলমুক্ত করা হবে’ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা কিছুদিন পরে জানতে পারবেন, এরই মাঝে আমরা একটি মার্কেটে যে অবৈধ দোকানগুলো করা হয়েছে, সেগুলো উচ্ছেদের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। শিগগিরই এই উচ্ছেদ শুরু হবে। আমাদের যতগুলো নিজস্ব মার্কেট আছে এবং সে মার্কেটেগুলোতে যত অবৈধ দোকান আছে, আমরা পর্যায়ক্রমে সবগুলো উচ্ছেদ করব।’

‘আদি বুড়িগঙ্গা ও নদীর বিভিন্ন অংশে করপোরেশনের ময়লা ফেলে নদী ভরাটের’ এক অভিযোগের বিষয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘সিটি করপোরেশন আসলে বর্জ্য ফেলে না। বর্জ্য অপসারণ করে। সিটি করপোরেশন বর্জ্য ফেলে নদী ভরাট করছে, এটি ভুল তথ্য। তবে প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় অনুযায়ী আমরা আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধার করব। সেজন্য ইতোমধ্যে এমআইএসটিকে (মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি) পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তারা একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, আমরা তার ওপর কাজ করছি।’

তাপস বলেন, ‘আমরা আদি বুড়িগঙ্গাকে সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করে সেখানে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব। তাহলে আমরা বর্জ্য থেকেও মুক্ত হব এবং ঢাকাবাসী একটি সুন্দর নান্দনিক পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন।’

এ সময় কাপ্তানবাজার আধুনিক জবাইখানার কাজে ধীর গতিতে উষ্মা প্রকাশ করে ডিএসএসসি মেয়র বলেন, ‘এই কাজটি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। আমি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি যাতে দ্রুত গতিতে কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এর মাধ্যমে আমরা আধুনিক জবাইখানাটির কার্যক্রম শুরু করতে পারব।’

তাপস আরো বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন মশক নিধন কর্মসূচি আমরা বছরব্যাপী গ্রহণ করেছি। ৬ মাস পর পর আমরা মশক নিধন কর্মসূচি পর্যালোচনা করি। ডেঙ্গু রোধে প্রথম অবস্থায় আমরা বেশি জনবল নিয়োগ দিয়েছিলাম। ডেঙ্গু রোধে আমাদের কার্যক্রম সফলতার দাবিদার। বর্তমানে এই কার্যক্রমে বেশি সংখ্যক জনবল প্রয়োজন নেই। তাই তাদেরকে অন্য কাজে লাগানো হবে। তবে আমরা কাউকে ছাঁটাই করছি না।’

পরে ডিএসএসসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিলপাড় ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দুপুর খাল পরিদর্শন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত